Spread the love

উচ্চমাধ্যমিকে তৃতীয় কাটোয়ার অভীক দাস চিকিৎসক হতে চায়,

পারিজাত মোল্লা, কাটোয়া,

পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ার মুখ উজ্জ্বল করলো অভীক দাস।এবার উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যে তৃতীয় স্থান দখল করলো কাটোয়ার কাশীরাম দাস বিদ্যায়তনের ছাত্র অভীক দাস৷ সে বড় হয়ে চিকিৎসক হতে চায়। এই লক্ষ্যেই সে পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছে৷ তার উচ্চমাধ্যমিকে প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৬। মেধাতালিকায় এবারও স্থান পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত স্কুলের শিক্ষক থেকে শুরু করে শহরের বাসিন্দারাও। কাটোয়া কাশীরাম দাস বিদ্যায়তন স্কুলের প্রধান শিক্ষক কমল কান্তি দাস জানান , -‘ ও স্কুলকে গর্বিত করেছে। এছাড়া অভীক যথেষ্ট বাধ্য ছাত্র ছিল। স্কুলের শিক্ষকরা যেভাবে পড়াতেন তা মন দিয়ে পড়ত। একটা ভালো ছাত্রের যা যা গুন থাকা দরকার সবটাই তাঁর মধ্যে আছে। আমরাও গর্বিত ওর জন্য’। জানা গেছে, কাটোয়া শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মাস্টারপাড়ার বাসিন্দা শিবানন্দ দাসের একমাত্র ছেলে অভীক দাস ছোট থেকেই পড়াশুনায় ভালো। অভীকের বাবা শিবানন্দবাবু কাটোয়ার মূলগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। আর মা মানসী দাস একজন গৃহবধূ।  অভীক গত ২০২০ সালে মাধ্যমিকে দ্বিতীয় স্থান দখল করে থাকে । মাধ্যমিকে অভীকের প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৬৯৩।  এবার উচ্চমাধ্যমিকে অভীক দাস বাংলায় ৮৮, ইংরাজীতে ৯৮, কেমিস্ট্রিতে ১০০, ফিজিক্সে ৯৯, অঙ্কে ১০০ ও বায়োলজিতে ৯৯ পেয়েছেন। পড়াশুনার পাশাপাশি অভীক গল্পের বই পড়তে ভালোবাসে। তারসঙ্গে গান শুনতেও ভালোবাসে। অভীক দাস এদিন জানায়, ‘ প্রতিটি বিষয় খুঁটিয়ে পড়তাম। বাঁধাধরা নিয়মের বাইরে যখনই ইচ্ছা করত পড়তে বসতাম। পরীক্ষার পর মেধাতালিকায় স্থান পাব আশা করেছিলাম। বড় হয়ে মানুষের পাশে থাকতে চিকিৎসক হতে চাই। তারজন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি’। এদিন অভীকের বাবা শিবানন্দবাবু বলেন, -‘ছেলে ছোট থেকে খুবই শান্ত স্বভাবের ছিল। পড়াশুনার বিষয়ে অভীক অত্যন্ত সিরিয়াস ছিল৷ আমাদের খুবই আনন্দ হচ্ছে মেধাতালিকায় স্থান পাওয়ায়। টিভির পর্দায় নাম ঘোষনা হতেই অভীক দাসকে সংবর্ধনা দিতে আসেন অনেকেই। অভীক দাস ৯৯. ২ শতাংশ নম্বর পেয়েছে৷ মেধাবী ছাত্র হিসাবে পরিচিত ছিলেন স্কুলেও৷ তার এক শিক্ষক এদিন জানান, -‘স্কুলে অভীককে প্রশ্ন করে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি এটা কখনই হয়নি। সব সময়েই অভীক উত্তর দিতেন৷ ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্যই অভীক আজ বড় সাফল্য পেয়েছে’। কাটোয়ার বর্ষীয়ান বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টপাধ্যায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এই কৃতি পড়ুয়া কে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *