আইপিআরএস সর্বাত্মক সমর্থন করছে মিউজিক মেকারদের “লার্ন আ্যান্ড আর্ন’ ক্যাম্পেনের মধ্যে দিয়ে
রাজকুমার দাস
|
ইন্ডিয়ান পারফর্মিং রাইট সোসাইটি লিমিটেড সর্বদা এর সদস্যদের কল্যানে চিন্তিত এবং 1969-এ এর সূচনা থেকে কম্পোজার, গীতিকার ও পাবলিশার্সের স্বত্ব রক্ষা করে আসছে। প্রতিভাবান ক্রিয়েটরদের তাদের স্বত্ব ও সুযোগ সম্পর্কে জ্ঞানের অভাবের ফলে পীড়িত হওয়া দেখাটা সত্যিই অস্বস্তিকর এবং এই পরিস্থিতি সঠিক করতে সংশোধনমূলক প্রতিকারের প্রতি তাদের চিন্তাভাবনা জোগায় আইপিআরএস।
একটি যৌক্তিক কপিরাইট সোসাইটি হিসেবে আইপিআরএস এর সদস্যরা মহামারি চলাকালীন কতটা আর্থিক অনটনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন সে নিয়ে সচেতন ছিল। এইসঙ্গে এই সোসাইটি পর্যবেক্ষণ করেছে এর সদস্যদের বহু সংশয় এই দ্রুত রুপান্তরশীল মিউজিক ল্যান্ডস্কেপে। এই পরিপ্রেক্ষিতে এই উদ্যোগ চালু করা কথা ভাবা হয়েছে এর সদস্যদের তথ্যাভিজ্ঞ, শিক্ষিত ও সবল করতে। এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে সদস্যদের কাছে পৌঁছনো হল আইপিআরএস-এর প্রধান উদ্দেশ্য।
আইপিআরএস সদস্যদের চোখ-খোলার জন্য তাঁদের সৃজনশীল যাত্রা ও কেরিয়ারে সুবিধা দেবে। এই নলেজ ওয়ার্কশপ যার নাম ‘লার্ন আ্যান্ড আর্ন’ সফলভাবে শুরু হয়েছে মঙ্গলবার কলকাতায়।
এই ওয়ার্কশপ চেন্নাই ও হায়দরাবাদের মতো মিউজিক ক্রেজি শহরের অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে এরকম দুর্দান্ত “লার্ন এন্ড আর্ন’ ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল মে মাসের প্রথমদিকে। শিল্পকলার অন্যান্য ফর্ম যেমন সাহিত্য, ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানীর রঙিন পালক। বৈশ্বিক সাংস্কৃতিক আইকন যেমন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও সত্যজিৎ রায়ের মতো আইকনিক চরিত্র এই “সিটি অব জয়’-এর অসাধারণ আবেদনে অন্য মাত্রা যুক্ত করেছেন। যেমন প্রত্যাশিত, বাংলার ঋদ্ধ মিউজিক্যাল ও ঐতিহ্য একত্র হয়েছিল ক্লাসিক্যাল, ফোক, বাংলা রক মিউজিক প্রভৃতি জরের কয়েকজন সবচেয়ে শক্তিশালী মিউজিক্যাল ক্রিয়েটরের সৃষ্টি শুনতে এবং এঁদের সঙ্গে ছিলেন নির্ধারিত স্বাধীন শিল্পীরা – যাঁরা এই গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টের জন্য এসেছিলেন। মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির
ক্রেমে ডে লা ক্রেমে শৈলী, বিশেষ করে বাংলা থেকে, যার অন্তর্ভুক্ত টপ-লাইন কম্পোজার, গীতিকার, পাবলিশার এবং আইপিআরএস-এর সব প্রখ্যাত সদস্যরা এই সাক্ষাৎকে করে তুলেছিল আরও তাৎপর্যপূর্ণ।
ওয়ার্কশপের আলোচনার মূল বিষয়ের কেন্দ্রে ছিল মিউজিক ও এই সংক্রান্ত ক্ষেত্রে কপিরাইট যেমন লাইসেন্সিং,
উদিত প্রবণতা এবং ডিজিটাল যুগে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, এবং ক্রিয়েটরদের স্বত্ব, অধিকার ও তাদের সঠিক বকেয়া সম্পর্কে আইপিআরএস-এর ভূমিকা।
“আইপিআরএস ছারা প্রবর্তিত লার্ন আ্যান্ড আর্ন ক্যাম্পেন হল ক্রিয়েটর ও মিউজিক পাবলিশারদের স্ব সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির একটি দূর্দান্ত উদ্যোগ। ভারতে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে জড়িত মিউজিশিয়ানদের কপিরাইট সোসাইটির সুবিধা ও ভূমিকা সম্পর্কে জানা জরুরি এবং কপিরাইট আইনের অধিকার সম্পর্কেও সচেতন হওয়া প্রয়োজনীয়। অজ্ঞানতা আর কোনো অজুহাত হতে পারে না, আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আইপিআর এর সদস্মদের জন্য নলেজ ওয়ার্কশপ আয়োজন করেছে তাদের নৈপুণ্য ও উৎকর্ষ প্রসারে।
আইপিআরএস সিইও রাকেশ নিগম কলকাতায় সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “ভারতীয় মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি ডায়নামিক ভাবে বিবর্তিত হচ্ছে এবং এটা কয়েকজন সবচেয়ে প্রখ্যাত গীতিকার ও কম্পোজারের ধাত্রীগৃহ। আঞ্চলিক সংগীতে এই বিকাশে এটা ইন্ধন জোগায়, কেননা এটা সীমানা পেরিয়ে যায় ।
বাংলা মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি, একগুচ্ছ প্রতিভাবান ক্রিয়েটরদের নিয়ে এই নতুন আবিষ্কৃত সাফল্যে এক প্রধান ভূমিকা পালন করছে।
যখন এই ইন্ডাস্ট্রি নতুন উচ্চতা স্থাপন করছে এর বাধ্যতামূলক ফরমানে যে গীতিকার ও কম্পোজারদের তাঁদের অধিকার সম্পর্কে পূর্ণ সচেতন হতে হবে। এই উদ্যোগের লক্ষ্য হল মিউজিক কপিরাইট ও লাইসেন্সিঙে সচেতনতা গড়ে তোলা আর পাশাপাশি জ্ঞান ও নো-হাউ-এর মাধ্যমে আইপিআরএস সদস্যদের নৈপৃণ্য বিকাশে সাহায্য করা।
কপিরাইট শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম হিসাবে আই পি আর এস সুন্দর ভাবে কাজ করে চলেছে,তাই নিয়ে উপস্থিত চিত্রপরিচালক শতরুপা সান্যাল,সহ প্রেম গুপ্তা, দেবজ্যোতি মিশ্র সহ অন্যান্য রা প্রতিক্রিয়া দেন।