কাজল মিত্র :-দুর্গাপুর বন বিভাগ সজাগ বনদপ্তরের সচেতনামূলক গ্রামে গ্রামে পৌঁছানো হচ্ছে বারবার বন অধিকারীরা তারা নিজের পায়ে পা মিলিয়ে বিভিন্ন গ্রামে তাদের নিজস্ব কার্যালয় থেকে গাছেদের গুরুত্ব বোঝাচ্ছে বিভিন্ন রকম পদ্ধতিতে কোন সময় পায়ে হেঁটে কোন সময় সাইকেলে প্রচার চালাচ্ছে নিরন্তরভাবে যাতে জঙ্গলে আগুন না লাগানো হয় কিন্তু কিছু দুষ্কৃতীদের দ্বারা লাগানো আগুনে জঙ্গল বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে, জঙ্গলে আগুন লাগানোর ফলে জঙ্গল তো শেষ হয়ে যাচ্ছে এতে জীবকুল প্রাণীকুল ক্ষতির মুখে পড়েছে ।
দুর্গাপুর বনবিভাগের আসানসোল টি রেঞ্জের অন্তর্গত গৌরান্ডি বিট এর পানুরিয়া পঞ্চায়েতের আওতায় থাকা বনদপ্তর এর দীগলপাহারি জঙ্গলে বারাবনি ব্লকের দুপুরবেলা খবর যায় গৌরান্ডি বন দপ্তরের যে তাদের একটি বড় জঙ্গলে আগুন লেগে গেছে দুপুর 12 নাগাদ দাও দাও করে আগুন জ্বলতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা গ্রামের দূর দূর থেকে কালো ধোঁয়ায় ভরে যায় এলাকা . তীব্র হাওয়াই সে আগুন এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত জঙ্গলে ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়. পাশে গ্রাম থাকায় গ্রামের লোকেরা আতঙ্কিত হয়ে যায় তারা সঙ্গে সঙ্গে বনদপ্তর এর উচ্চস্তরের সংবাদ পাঠালে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় স্থানীয় মানুষজন কে সঙ্গে নিয়ে গ্রাম্য বাসিন্দাদের সহযোগিতায় বনকর্মীরা সবাই একসাথে বনদপ্তর এর কর্মীরা বেশ 4 ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের দুটি ইঞ্জিন আসানসোল থেকে এবং রাণীগঞ্জ থেকে এবং ব্যবস্থা করা হয় জলের ট্যাঙ্কার কিন্তু ততক্ষণে প্রায় 7 হেক্টর জঙ্গলে আগুনের দ্বারা, ক্ষতি হয় বনদপ্তর সূত্রে জানা গেছে 2012 সালে এই এলাকায় নিবিড় বনসৃজনের অঙ্গ হিসেবে অন্ততপক্ষে বহুৎ গাছ লাগানো হয়েছিল।গৌরান্ডি বিট অফিডলসার ও বনদপ্তর এর অধিকারীরা বলেন বারংবার কিছু দুষ্কৃতীরা জঙ্গলে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে এতে জীবকুল প্রাণীকুল সবার ক্ষতি হচ্ছে. বারবার দুর্গাপুর বন বিভাগের পক্ষ থেকে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে তবুও এভাবে বন সম্পত্তি নষ্ট করা হচ্ছে ।
জীব বৈচিত্র কে বাঁচিয়ে রাখতে জঙ্গল রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের সকলের.।