রক্তদান শিবির হলো গলসির বেলগ্রামে
জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী
অতীতের মত এই বছরেও গরম পড়তে না পড়তেই বিভিন্ন হাসপাতালে দেখা দিচ্ছে রক্তের ঘাটতি। ফলে রক্তের অভাবে বিপদে পড়ছে মুমূর্ষু রুগীরা। সমস্যা সমাধানে প্রতি বছর এগিয়ে আসে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্হাগুলি। ব্যতিক্রম ঘটলনা এবছরও।
গত ১৭ ই এপ্রিল গলসী ২ নং ব্লকের অন্তর্গত সাটিনন্দী গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বেলগ্রাম তৃণমূল কংগ্রেস ও মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে বেলগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক স্বেচ্ছা রক্তদান শিবির আয়োজিত হয়। বর্ধমান রেডক্রসের সহযোগিতায় এই শিবির থেকে প্রায় পঞ্চান্ন ইউনিট রক্ত সংগ্রহ করা হয়। উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে সংগৃহিত রক্ত সংশ্লিষ্ট সংস্হার হাতে তুলে দেওয়া হয়। রক্তদাতাদের মধ্যে কুড়ি জন মহিলা ছিলেন। রক্তদান শিবিরকে কেন্দ্র করে এলাকার মানুষের মধ্যে উৎসাহ ও উদ্দীপনা ছিল যথেষ্ট।
রক্তদাতাদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য এই রক্তদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন গলসি ২ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুজন কুমার মণ্ডল, ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি হেমন্ত পাল , পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বাসুদেব চৌধুরী, পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি নব কুমার হাজরা, সাটিনন্দী অঞ্চল তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি কানাইলাল চৌধুরী, অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি সেখ কামরুল হোসেন, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ সদস্য সুভাষ পুইলে, ব্লক কমিটির সদস্য সফর মল্লিক সহ সাটিনন্দী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বৈশাখী পুইলে সহ উপপ্রধান ও অন্যান্য সদস্যরা এবং স্হানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ।
উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে সুজন বাবু বলেন - 'দিদি'-র অনুপ্রেরণায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা যে সর্বদা মানুষের পাশে থাকে এই শিবিরের আয়োজন তারই প্রমাণ বহন করে। মুমূর্ষু মানুষ রক্তের অভাবে যাতে কোনোরকম সমস্যায় না পড়ে তার জন্য আমাদের লক্ষ্য এই ব্লকের প্রতিটি অঞ্চলে এক বা একাধিক রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা। তিনি স্বেচ্ছায় রক্তদান করার জন্য রক্তদাতাদের ধন্যবাদ জানান।
একই সুর শোনা গেল ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি হেমন্ত পালের কণ্ঠে। তিনি বললেন - রক্তের চাহিদা মেটাতে ব্লক 'মাদার' তৃণমূল কংগ্রেসের সহযোগিতায় খুব শীঘ্রই ব্লক যুব তৃণমূলের পক্ষ থেকে আমরা একাধিক রক্তদান শিবিরের আয়োজন করব।