কাটোয়ায় একই পরিবারের তিনজনের রহস্য মৃত্যু
পারিজাত মোল্লা, কাটোয়া,২১ মার্চ
মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষি পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া থানা এলাকা। একই পরিবারের তিনজনের রহস্যজনক মৃত্যু। সোমবার বেলা পর্যন্ত বন্ধ ছিল ঘরের দরজা । বহু ডাকাডাকি করেও কারোর কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না । খটকা লাগায় পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকতেই দেখতে পায় ঘরের সিলিং থেকে ঝুলছে যুবকের দেহ ।নিচে পরে তার মেয়ে ও স্ত্রী। পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া থানার পানুহাট বৈদ্যপাড়ার ব নঈম শেখ ও তাঁর স্ত্রী কামরুন বিবি, এক মেয়ে পিঙ্কি খাতুন। বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন ছিল মেয়েটি। স্থানীয় সুত্রে প্রকাশ , এদিন সকাল দশটা বেজে গেলেও ওই পরিবারের কারও সাড়াশব্দ পাইনি প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজনরা। বহু ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন তাঁরা। সেই সময় দেখতে পান ঝুলছে নইম শেখ। বিছানায় পড়ে তার মেয়ে পিঙ্কি খাতুন(১৫)। আর গলায় গামছা জড়ানো অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছে নইমের স্ত্রী কামরুন বিবি।কাটোয়া থানার পুলিশের প্রাথমিকভাবে অনুমান, স্ত্রী ও মেয়েকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন নইম শেখ। পুলিশ এদিন সকাল প্রায় এগারোটা নাগাদ দেহ তিনটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কাটোয়ার খাজুরডিহি পঞ্চায়েতের পানুহাট বৈদ্যপাড়ার নইম শেখ ছিলেন পেশায় গাড়িচালক। পরিবার সূত্রে প্রকাশ , নঈমের মেয়ে পিঙ্কি খাতুন মূক ও বধির। নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে। অভাবের সংসারে প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে দুঃচিন্তায় থাকতেন এই দম্পতি। তার জেরেই কি স্ত্রী ও মেয়েকে মেরে আত্মঘাতী হয়েছেন নইম? নাকি দম্পতি একসঙ্গে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন? এই তিন মৃত্যুর ঘটনায় এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে কাটোয়া থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।