“বন্ধন”
গোপা ভট্টাচার্য্য,
কুয়াশার আমেজ মেখে শিশির ভেজা শীতের সকালে.. চায়ের কাপে যে উষ্ণতা খুঁজে পাই, সেখানে আছে শুধু তৃপ্তি।
সবুজে ঘেরা ঘন বনানীর গহীন গুঞ্জনে কান পাতি; নৈঃশব্দের ফিসফিস কথোপকথন শুনি;
নিবিড় পারিবারিক বন্ধনে অদেখা যে সম্পর্ক গাঁথে বৃক্ষরাশি,
অনুভবে ছুঁই তাদের মুগ্ধতায়..
শিকড়ে শিকড় মেলে , ডাল-পালাদি ছুঁয়ে থাকে স্নেহ-মমতার অঞ্চলে,
নিবিড় আলিঙ্গনে নিখাদ ভালোবাসার রূপকথা লিখে যায় অরণ্যের বুকে,
চোখ জুড়ানো এই দৃশ্যপট জলছবি হয়ে মননে বেঁচে থাকে চিরন্তর..
প্রকৃতির এই অদ্ভুত সুরেলা প্রাণের মেলায় সম্মোহিত মন – প্রাণ… শুনি নীরবে গেয়ে যাওয়া জীবনের গান!
সীমান্তের ওপারে চলে যাওয়া খেয়ালী সুখ,
ফিরে আসে ইচ্ছেমত, ছুঁয়ে যায় অবাধে অনুভূতির গুপ্তকুটির।
গা- ছাড়া বিবাগী আবেগও শেকড় ছড়ায়,
স্পন্দিত হয় হৃদয়,প্রাণের ছোঁয়ায়..
বৃষ্টি তার একতারার সুরে মাদকতা ছড়ায়,
অবাধ্য ভাবনারা পরতে পরতে রূপ বদলায়, প্রাণের ছোঁয়ায়।