স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে হলফনামা তলব হাইকোর্টের
নিজস্ব প্রতিনিধি,
সোমবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে অভিযোগ নিয়ে মামলার শুনানি চলে। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে অভিযোগ জমছে। রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোম স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ফিরিয়ে দিচ্ছে বলে আগেই অভিযোগ উঠেছিল। সে নিয়ে রাজ্য সরকার অ্যাডভাইজারিও জারি করে। এখন অভিযোগ, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে বরাদ্দ টাকার সঠিক প্রয়োগ হচ্ছে না।বাজেটের টাকার গড়মিল হচ্ছে বলেও অভিযোগ জানিয়ে পিটিশন দাখিল হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। আজ এই মামলার শুনানিতে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে রাজ্য সরকারের হলফনামা তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আবেদনকারী ডাঃ কুণাল সাহা দাখিল পিটিশনে বলেছেন , -‘ স্বাস্থ্য বাজেটে দেখা যাচ্ছে বরাদ্দ কমেছে। তবে রাজ্য বলছে এক কোটির বেশি মানুষ সুবিধা পাচ্ছেন। এটা কেমন করে সম্ভব হচ্ছে’। আবেদনকারীর আরও দাবি, – স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে পরিবারপিছু পাঁচ লক্ষ টাকা করে দিচ্ছে সরকার। কিন্তু কোনও পরিবারে ১০ জন সদস্য, আবার কোনও পরিবারে তিনজন। সংবিধানে বলা আছে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সকলের সমান অধিকার। কিন্তু এখানে তা মানা হচ্ছে না’।আবেদনকারী ডাক্তারের বক্তব্য, -‘ সরকারি ও বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিত্সার যা খরচ তাতে কার্ডে বরাদ্দ টাকার সঠিক ব্যবহার করা যাচ্ছে না। সেই নিজের পকেট থেকেই টাকা খরচ হচ্ছে রোগীর’। অনেকক্ষেত্রে এমনটা হয়েছে বলে অভিযোগ।এদিন কলকাতা হাইকোর্টে মামলাকারীর আবেদনের প্রসঙ্গে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন,-‘ প্রতি বছরই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড রিনিউ হবে। যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিচ্ছে না বা হিসেবে গণ্ডগোল করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্যের হেলথ রেগুলেটরি কমিশন’। অ্যাডভোকেট জেনারেলের বক্তব্য, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে নানা রকম বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। আসলে বহু মানুষই সুবিধা পাচ্ছেন। আবেদনকারীও নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ দেখাতে পারেননি। আগামী ১৯ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি। ওই দিনই নিজের অবস্থান জানিয়ে হলফনামা পেশ করতে হবে রাজ্যকে।