সুরঞ্জনা তুমি কি আবার আমার হবে…
বিমান বিশ্বাস
হৃদয়ে ভাসে কতশত ছায়াপথ
তারা ঘুরে বেড়ায় আপন মনে
ভ্রান্তির মায়াজালে বিভোর হয়ে আমাকেই ভালোবেসে।
হৃদয়ের শরীরে বেড়ে ওঠা সদ্যজাত ফুলের বাগান, মনের নৃত্যের জলতরঙ্গের বাঁধনহারা উচ্ছ্বাস,ঝরে পড়া পুলকিত বিষণ্ণতার দাদরীর উল্লাস, শিশির ভেজা ঘাসের ডগায় দখিনা সমীরের বৈরাগ্যের আলাপন
সকলেই ভালোবাসতে চায় আমাকে
আমিও তাদের ভালোবেসেছিলাম বৃষ্টির ঝরে পড়া হৃদয়ের ফিনকি বেয়ে বেড়ে ওঠা কবিতার আকাশে বাতাসে হারানো প্রেমের গৌরব গাঁথার উষণ্ণতার আঁধারে।
ভোরের ভৈরবী রাগের ছন্দতালে নরম রোদের সোনালী শাড়ির আঁচল যখন দরজার খিল খুলে চোখের পাতায় বিছানা পাতে
ঘুম চোখে চেয়ে দেখি ভালোবাসার প্রতিশ্রুতি ভাঙার ভ্রান্তির কলধ্বনি।
ওই তো সেদিন শুনেছিলাম ব্যথাদের কতকথা
তারা মিলেমিশে গেয়ে গেছে বিরহী ধুলোর আস্তরণ গায়ে মেখে হারানোর সংঘাত অনিবার্য রক্তঝরা জীবনের জয়গান।
আমি বুঝিনি সেদিন মিলেমিশে ছড়িয়ে আছে আঁধারের রেণু মনের চিলেকোঠায়
বুঝিনি আমি পূর্ণিমার চাঁদ আধাঁরে কেনো ঢাকা?
ভালোবাসার মান-অভিমান তো স্বাভাবিক,নিত্য দিনের জীবন যৌবনের টুকরো টুকরো রামধনুর ভালোবাসা
তারা এই আছে তো এই নেই
তবে কেন এতো দংশন এঁকে যায় বিরহের নক্সী-কাঁথা কারণে অকারণ।
ঘুম যখন ভাঙে ব্যথার কলতানে
মুখরিত ভোরের আলো চিকচিক করে ঢোকে দরজার ফাঁক গলে
চোখ মেলতেই দেখি হৃদয় ঢেকে আছে ব্যথার ধুলোর আস্তরণ!
অসুখের শিলালিপি ডিঙিয়ে হাতড়ে বেড়াই মনের গভীর তল
বুঝতে পারি চাওয়া পাওয়ার বিচ্ছেদ তো একদিনে আসেনি
তারা মানিয়ে নিতে পারেনি জীবনের ছেঁড়া পাতার ঝরে পড়ার শব্দ, বাতাসে ভেসে বেড়ানো কান্নার ধ্বনি, গোপনে রাখা বুকের মাঝে ব্যথার কনকচাঁপা।
তবু আজো রাত জাগি নিয়ম-মাফিক
ঝরা পাতার দীর্ঘশ্বাসে পোড়াতে চাই উচাটন ফেরারী পরিযায়ী ভালোবাসার ব্যথার কারণ।
খুঁজে ফিরি আনমনে হৃদয়ে লালিত বিষের শিশি আগামী শ্রাবণের বৃষ্টিফোঁটোর মধুক্ষণ।
ব্যথার ধারা লুকিয়ে
কুড়িয়ে নিতে চাই চেনা জানা অভিমানের সংসারে বেড়ে ওঠা সুখস্মৃতির আনন্দের ধারা
জানি আমি সুখের শিলালিপি কবেই বন্ধ করেছে দরজা
জমে থাকা নিথর নিস্তেজ কবিতা তবু নীরবে চিৎকার করে
সুরঞ্জনা তুমি কি আবার আমার হবে……