মেট্রো ডেয়ারির আর্থিক দুর্নীতিতে তদন্তে প্রস্তুত, আদালত কে জানালো সিবিআই,
মোল্লা জসিমউদ্দিন টিপু, ,
মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এর ডিভিশন বেঞ্চে উঠে ‘মেট্রো ডেয়ারি’র আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলাটি। মেট্রো ডেয়ারি বাণিজ্যিক সংস্থা টি ‘সস্তায়’ শেয়ার বিক্রি করার অভিযোগ । কলকাতা হাইকোর্টে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর দায়ের করা জনস্বার্থ মামলায় নুতন মোড় এলো । এদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এর পক্ষে জানানো হয়েছে -‘ যে কোনও মুহূর্তে তদন্ত করতে প্রস্তুত তারা’ । মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে অবস্থান স্পষ্ট করে জানাল সিবিআই কর্তৃপক্ষ । আগামী ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত শুনানি রয়েছে মেট্রো ডেয়ারি মামলার।তার আগে অর্থাৎ আগামী ১০ ডিসেম্বর মধ্যে এই মামলার সব পক্ষকে অবস্থান জানানোর ‘শেষ সুযোগ’ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ। অত্যন্ত কম দামে এক সিঙ্গাপুর সংস্থা কে মেট্রো ডেয়ারির শেয়ার বিক্রির অভিযোগ ওঠে। রাজ্যের ৪৭ শতাংশ শেয়ার নাম মাত্র দামে বিক্রি করার অভিযোগ করেন রাজ্য কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী মহাশয়। একশো কোটি টাকার উপর বিপুল আর্থিক ক্ষতি করে শেয়ার বিক্রির জন্য বিক্রিদাতাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চেয়ে মামলা করে থাকেন প্রাক্তন কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। চলতি বছরের গত ফেব্রুয়ারি মাসে মেট্রো ডেয়ারির শেয়ার বিক্রি নিয়ে তদন্ত করে এনফর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। মেট্রো ডেয়ারির শেয়ার ছিল রাজ্য সরকারের হাতে।যা পরে রাজ্য সরকার তা ছেড়ে দেয়। গত ২০১৭ সালে রাজ্য সরকারের থেকে মেট্রো ডেয়ারির ৪৭ শতাংশ শেয়ার কেভেন্টার্স কিনে নেয়। তবে অভিযোগ ওঠে, তত্কালীন বাজারদরের থেকে অনেক কম দামে কেভেন্টার্স মেট্রো ডেয়ারির শেয়ার কেনে থাকে। সেক্ষেত্রে কম দামে কেনার ক্ষেত্রে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ মামলাকারীর। কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী তদন্তকারী সংস্থা ইডি। মেট্রো ডেয়ারির মামলায় শহরের দু’জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছেন ইডির আধিকারিকরা।মেট্রো ডেয়ারি হস্তান্তর সংক্রান্ত মামলায় এবার একের পর এক আইএএস-কে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। গত ২০১৭ থেকে এই মামলার তদন্ত করছে ইডি। কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর দায়ের করা মামলার অভিযোগের ভিক্তিতে ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু হয়। অধীরবাবুর দাবি , ক্রেতা সংস্থাটি কে বিপুল আর্থিক সুবিধা করে দিতেই সরকারি প্রকল্পের ক্ষতি করেছে রাজ্য সরকার।অভিযোগ , কেভেন্টার্স সংস্থাকে মেট্রো ডেয়ারি হস্তান্তর করার ক্ষেত্রে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল। নিয়মের বাইরে গিয়ে কম দামে মেট্রো ডেয়ারির শেয়ার কিনে নেয় কেভেন্টার্স। সংশ্লিষ্ট দফতরের সচিব থাকার জন্য বিপি গোপালিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল একসময় ইডি।ইডি সূত্রে প্রকাশ , তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হবে, কেন শেয়ার কেনার সময় একমাত্র কেভেন্টার্সই ছিল। সাধারণত, যে সংস্থা বেশি টাকা দেয় তাদেরকেই শেয়ার হস্তান্তর করা হয়। তবে এ ক্ষেত্রে শুধুমাত্র কেভেন্টার্সই ছিল। এই হস্তান্তরের জন্য কোনও রাজনৈতিক চাপ বা কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির চাপ ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হবে।এখন দেখার কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানিতে অর্থাৎ আগামী ১৬ ডিসেম্বর কি নির্দেশ দেয়? তবে ইতিমধ্যেই সিবিআই এই মামলার জন্য আগাম প্রস্তুত তা আদালতে পেশ অবস্থান করায় রাজ্য সরকার অনেকটাই চাপে পড়ে আছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।