ওয়াসিম বারি,
ফুলকপি চাষ করে সর্বশান্ত হল বাদুড়িয়ার কৃষকরা। ক্ষোভে দুঃখে চাষীরা মাঠেই তাদের ফসল জ্বালিয়ে দিচ্ছে। পোড়া ফুলকপি হাতে নিয়ে সোমবার সকাল ১১টায় মিছিল করে এসে কৃষকরা বাদুড়িয়া চৌমাথায় প্রতীকী রাস্তা অবরোধ করে। তাঁরা সহ কৃষি অধিকর্তার দপ্তরে বিক্ষোভ প্রদর্শনের পর আধিকারিককে তাদের দাবি পত্র দেয়। কৃষক নেতা বলেন ৫০,০০০ টাকা কেজি দরের বহুজাতিক সংস্থার বীজ কিনে চাষ করেছি। সেই বীজে গাছ তৈরি হলেও ফুল ফোটার কয়েক দিনের মধ্যে তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বাদুড়িয়ার ৮০০ বিঘা জমির কপি চাষীরা এই ক্ষতির মুখে পড়েছে। বাদুড়িয়া পুরসভার মাগুরুতি-শ্রীরামপুরের চাষীদের এটাই মূল ফসল। এই ফসলই তাদের রুজি-রুটির একমাত্র অবলম্বন। কপি চাষী অমুক বলেন,” প্রতি বিঘা কপি চাষে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। আর তা থেকে কমপক্ষে ৮০ হাজার টাকার কপি বিক্রি হয়। এই এলাকার সকল কৃষক এই চাষের ওপর নির্ভর করেই তাদের জীবন-জীবিকা ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচ চালায়। গ্রামীণ মহাজন, মহিলা সমিতি এবং রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক থেকে সুদ করে টাকা ধার নিয়ে এই চাষ করি। এখন টাকা শোধ করবো কোথা থেকে আর ছেলে মেয়েদের মুখে অন্ন তুলে দেবো কিভাবে সেই দুশ্চিন্তায় আমাদের মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। তাদের অভিযোগ বহুজাতিক সংস্থার এবছরের বীজ অনুন্নত মানের হওয়ায় এই ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। তাদের দাবি, এই ঋণ মুকুব করা হোক এবং নতুন করে চাষের জন্য কৃষি সামগ্রী ও আর্থিক অনুদান দেওয়া হোক। এই আই কে ইউ এস নেতা বলেন রাজ্য সরকারের উদ্যোগে আগামীতে চাষীদের পরীক্ষিত ফুলকপি বীজ বিতরণ করা হলে এই ক্ষতির মুখে পড়বে না। কৃষি অধিকর্তার বলেন, ” আমি আমার উদ্ধত কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি এবং আমরাও খতিয়ে দেখছি কেন এটা হল আর কিভাবে এর সমাধান করা যাবে।’