Spread the love

ইনফিনিটি এডু কেয়ারের উদ্যোগে চিকিৎসা শিক্ষাক্রম সংক্রান্ত মেলা ভয়েস ২০২১


শ্রীজিৎ চট্টরাজ : ভারতে চিকিৎসা খাতে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ খুবই সামান্য। হু এর সমীক্ষা বলছে, ভারতে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসকদের ৫৭শতাংশের কোনও স্বীকৃত ডিগ্রি নেই। চিকিৎসক সংগঠনগুলির আপত্তিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক স্বল্পমেয়াদি ডাক্তারি কোর্স বা নার্স তৈরির শিক্ষাক্রম তৈরি করতে পারছে না।
সমীক্ষা বলছে, ভারতে এই মুহূর্তে ৬ লক্ষ ডাক্তার ও ২০ লক্ষ নার্স এর ঘাটতি আছে। জনসংখ্যার অনুপাতে যখন প্রতি হাজারজন পিছু একজন ডাক্তারের প্রয়োজন, সেখানে বাস্তব অনুপাত প্রতি ১১হাজার নাগরিক পিছু একজন ডাক্তার। ফলে এক বিরাট সংখ্যক ডাক্তার ও নার্সের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু ডাক্তারি পড়ার খরচ ক্রমশ সাধারণ ঘরের শিক্ষার্থীদের কাছে স্বপ্নের সামিল হয়ে উঠছে। সেই মুহূর্তে মুশকিল আসন হয়ে ইনফিনিটি এডু কেয়ারের উপস্থিতি। দীর্ঘ ১৪বছর ধরে কলকাতায় ইনফিনিটি এডু কেয়ার সংস্থার প্রাণপুরুষ নির্মাল্য নাগ যাঁরা ডাক্তারি পড়তে ইচ্ছুক বা নার্স প্রশিক্ষণ নিতে ইচ্ছুক এমন ছাত্র ছাত্রীদের ও অভিভাবকদের সঠিক দিশা দেখিয়ে দেওয়ার পেশাদারী পরামর্শ শুধু নয়, সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেন। পাশাপাশি শিক্ষাক্রমের সম্ভাব্য খরচ ও বিদেশে থেকে পড়ার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত যোগ্যতা তৈরিরও পথ বাৎলে দেন।

শনিবার মধ্য কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে চিকিৎসা সংক্রান্ত মেলা ভয়েস ২০২১ এর আয়োজন করে ইনফিনিটি এডু কেয়ার। দুদিনব্যাপী এই মেলায় যোগ দিয়েছে১২ টি দেশের ৫০ টিরও বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যেখানে ছাত্রছাত্রীরা সরাসরি চিকিৎসা বিজ্ঞানের শিক্ষাক্রমে ভর্তি হতে পারেন। সংস্থার তরফে প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান নির্মাল্য নাগ বলেন, গত ১৪ বছরে প্রায় ৪হাজার ছাত্রছাত্রী এই সংস্থার পরামর্শে সাফল্যের সঙ্গে ডাক্তারি ও নার্সিং পরিষেবায় পড়াশুনো করে সাফল্য পেয়েছেন।

আগামী তিন বছরের মধ্যে একটি বিশেষ অ্যাপ নির্মাণ করে ডিজিটাল পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজ চলছে।মেলায় হাজির ছিলেন, হাওড়া শহরের অন্যতম বিধায়ক নন্দিতা চৌধুরী, নাসিমা কাজি, বিশিষ্ট সমাজসেবী মোক্তার আলি,তপন পাল, মোহাম্মদ ইস্তাম্বুল হক ও টেকনো ইন্ডিয়ার সি ই ও সুজয় বিশ্বাস প্রমুখ। সকলেই সংস্থার কর্মকাণ্ডের ভুয়সী প্রশংসা করে শ্রীবৃদ্ধি কামনা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *