সাধন মন্ডল,
বাংলাদেশে ধর্মীয় স্থানে আঘাত ও ইসকন মন্দিরের ভক্তকে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে মায়াপুর ইসকনের পরিচালনায় রায়পুর ইসকন মন্দিরের পক্ষ থেকে মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে হরিনাম সংকীর্তন মধ্য দিয়ে উক্ত ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানিয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে ভক্তবৃন্দ রায়পুর বাজার পরিক্রমা করে রায়পুর সবুজ বাজারে প্রতিবাদ মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন। বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রাখেন রায়পুর ইসকন মন্দিরের অধ্যক্ষ রসময় আনন্দ জি মহারাজ। তিনি বলেন অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার করতে হবে ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে তা যদি না হয় তাহলে তারা আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন। তাদের আজকের এই মিছিলে বা সবাই মাইকের ব্যবহার করতে না দেওয়ায় রসময় বাবু অত্যন্ত ক্ষোভের সঙ্গে বলেন মিটিং-মিছিল সভা-সমাবেশ যখন চলছে হাজার হাজার লোক উপস্থিত থাকছেন তখন কোনো দোষের নয় অথচ আমরা একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করতে চাইলে মাইক এর ব্যবহার করতে দেওয়া হচ্ছে না ও 50 জনের বেশি জমায়েত করতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রশাসনের এই দ্বিচারিতা কেন?
সনাতন ধর্মের বেদ সাধক কে এই নৃশংস ভাবে হত্যা করা হলো তার প্রতিবাদ জানানোর জন্য এখন বুদ্ধিজীবীরা মিছিল করেন না, মোমবাতি মিছিল হয়নি, এইতো আমাদের সমাজ আমরা কোথায় যাচ্ছি আজ ভাবতে হবে। মন্দিরের অধ্যক্ষ কৃষ্ণদাস রসময় আনন্দজি হুংকার দিয়ে বলেন অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির ব্যবস্হা না হলে আগামী দিনে এই রায়পুরের বুকে 10 হাজার থেকে 1 লক্ষ মানুষের জমায়েত করে প্রতিবাদ মিছিল করা হবে