কালিপুজোয় বাজিতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা হাইকোর্টে
মোল্লা জসিমউদ্দিন,
, ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের তরফে দুর্গোৎসবে গাইডলাইন বেঁধে দিয়েছে। এরপর আসন্ন কালিপুজোয় বাজি পোড়ানোতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা দাখিল হলো কলকাতা হাইকোর্টে।এই মামলা দাখিল হয়েছে বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। ভ্যাকেশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে। গত বছরও কালীপুজোয় বাজি পোড়ানোতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কোভিড সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নাজেহাল হতে হচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরকে, তার মধ্যে বাজির ধোঁয়া, গ্যাসট্রিক রোগীদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা আরও বাড়তে পারে। কালীপুজোয় বাজি পোড়ানো নিয়ে বারবার আপত্তি জানিয়েছেন পরিবেশকর্মী ও চিকিত্সকেরা। বাজির ধোঁয়া কোভিড পরিস্থিতিতে বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। পরিবেশকর্মীরা বলছেন, দীপাবলি শব্দবাজির নয় বরং আলোর উত্সব হয়ে উঠুক। গত বছরও প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছিল, রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সচেতনতার উপরেই জোর দিচ্ছে। বহুতল আবাসনগুলিকে নিয়ে বৈঠকও ডাকা হয়েছিল। এদিন মামলাকারীরা বলছেন, রাজ্য সরকারকে বাজি বিক্রি ও পোড়ানো সম্পূর্ণ বন্ধ করতে নির্দেশ দেওয়া হোক। বাজির বাজার না বসলেও, পাড়ায়-পাড়ায় অবাধ বিক্রি চলে, সেসব বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হোক। যদিও অনেকে বলছেন, আদালতের নির্দেশ পেতে পেতে অনেক দিন গড়িয়ে যাবে। চোরাপথে, পাড়ায় পাড়ায় বাজি বিক্রিও হবে। এর আগে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরেও নির্দিষ্ট সময়সীমার বাইরে বাজি পুড়েছিল। গত বছরও বাজি বিক্রি হয়েছে বহু জায়গায়। তা কত দূর আটকানো যাবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এখানে স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকাটাই সর্বাপেক্ষা গুরত্বপূর্ণ বাজি পোড়ানো আটকাতে।