অসহায় ছেলেমেয়েদের পাশে ‘খোলা জানালা’,
জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী
বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দরজায় উঁকি মারছে। কার্যত মহালয়ার দিন থেকেই ঢাকে কাঠি পড়ে গেছে। বিভিন্ন বস্ত্রালয়ের সামনে উপচে পড়া ভিড় জানিয়ে দিচ্ছে নতুন পোশাক পড়ে আনন্দে মেতে ওঠার জন্য বাঙালি প্রস্তুত। কিন্তু নতুন পোশাক কেনা বা পড়ার সৌভাগ্য সবার হয়না। বড়রা পরিস্থিতি মেনে নিতে পারলেও ছোটরা অসহায় ভাবে তাকিয়ে থাকে নতুন পোশাক পড়া ছেলেমেয়েদের দিকে। এবার 'খোলা জানালা' ফেসবুক পাবলিক গ্রুপের কিছু সদস্য অসহায় কিছু শিশুর পাশে এসে দাঁড়ালো।
সংশ্লিষ্ট গ্রুপের কিছু সদস্যের আর্থিক সহযোগিতায় ১০ ই অক্টোবর উওর চব্বিশ পরগনার বারাসাতের নবপল্লীর প্রায় ৩০ জন বিভিন্ন বয়সী দুস্থ শিশুর হাতে তুলে দেওয়া হয় নতুন বস্ত্র। এছাড়াও দেওয়া হয় মাস্ক, খাতা, পেন, পেন্সিল, রবার, সার্পনার সহ পড়াশোনার বিভিন্ন সামগ্রী। দেওয়া হয় আপেল, লেবু, সেদ্ধ ডিম, কেক, চকলেট, রসগোল্লাও। পুজোর মুখে নতুন জামাকাপড়, পড়াশোনার সামগ্রী ও খাদ্যদ্রব্য পেয়ে পিঙ্কি, সোনিয়া, রাজুদের সঙ্গে সঙ্গে ওদের অভিভাবকরাও খুব খুশি। জনৈকা অভিভাবিকা তো বলেই ফেললেন - ছেলেমেয়েদের নতুন জামাকাপড় কিনে দেওয়ার মত আর্থিক সামর্থ্য নাই। উনারা এগিয়ে আসাতে অন্তত ছেলেমেয়েরা নতুন জামাকাপড় পড়তে পাবে।
ঐগুলি বিতরণের সময়
গ্রুপের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন
ববি সরকার, লিলি নন্দী, বৃষ্টি রায়, চৈতালী রায়, গৌরাঙ্গ মোহন পাল,
বিপ্লব ভট্টাচার্য প্রমুখ।
প্রসঙ্গত সাহিত্যচর্চা, স্বরচিত কবিতা পাঠ ইত্যাদির সঙ্গে সঙ্গে প্রবীণ কবিদের কবিতা পাঠের ভিডিও কাব্য রসিকদের সামনে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে মাস তিনেক আগে গ্রুপটি গঠিত হয়। তারপরই বস্ত্র বিতরণের মত একটা ব্যতিক্রমধর্মী দৃষ্টান্ত সবার সামনে তারা তুলে ধরলেন।
সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গ্রুপের পক্ষ থেকে ববি সরকার বললেন – পুজোর সময় আমাদের বাড়ির ছেলেমেয়েরা নতুন পোশাক পড়বে আর আর্থিক সামর্থ্য না থাকার জন্য পাশের বাড়ির ছেলেমেয়েরা নতুন পোশাক পড়তে পারবেনা এটা ভেবে খুব খারাপ লাগছিল। আমরা নিজেদের সামর্থ্যের মধ্যে কয়েকজনকে নতুন পোশাক কিনে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। আমাদের সিদ্ধান্তের কথা জানতে পেরে পরিবারের কর্তারাও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। সবার সহযোগিতায় আজ আমাদের ইচ্ছে পূরণ হলো।