মোল্লা জসিমউদ্দিন,
, আজ অর্থাৎ শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট এর বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের এজলাসে বিধানসভায় সিবিআই ও ইডির আবশ্যিক হাজিরা নিয়ে নির্দেশ দান হতে পারে। এতদিন নারদ মামলায় বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের তলব এড়িয়েই চলছিল দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই ও ইডি। স্পিকারের ঘন ঘন তলবের বিরুদ্ধে নালিশ জানাতে কলকাতার হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছিল সিবিআই ও ইডি। আদালত এ ব্যাপারে জানিয়েছিল, কোনও রকম নির্দেশ দেওয়ার আগে অতি দ্রুত বিধানসভার অধ্যক্ষের সঙ্গে একবার দেখা করতেই হবে নারদ মামলায় তদন্তকারী সিবিআই আধিকারিকদের। গত ৪ অক্টোবর হাইকোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পরেই তড়িঘড়ি বিধানসভার অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করতে ছোটেন সিবিআই ও ইডির আধিকারিকরা। নারদ মামলায় অভিযুক্তরা যেহেতু রাজ্যে মন্ত্রী ও জনপ্রতিনিধি, তাই সরাসরি তাঁদের নোটিস না পাঠিয়ে বিধানসভার স্পিকারের মারফত্ ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বিধানসভার স্পিকারের যুক্তি, প্রিভেনশন অফ কোরাপশন আইন ১৯ (১) অনুসারে বিধায়কের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করতে গেলে বিধানসভার স্পিকারের অনুমোদন নেওয়ার দরকার হয়। সেটা নেওয়া হয়নি। তাঁর বক্তব্য, বিধানসভাকে বাদ দিয়ে অনুমোদন নিয়ে আসা হচ্ছে যা সঠিক নয়। জনপ্রতিনিধিদের চার্জশিট দেওয়ার ক্ষেত্রে যে আইন রয়েছে, সিবিআই ও ইডি তা লঙ্ঘন করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। কেন এমন করা হল তা জানতে চেয়ে সিবিআই ও ইডি দু’পক্ষকেই তলব করে বিধানসভা কর্তৃপক্ষ। এই মামলায় অ্যাডভোকেট জেনারেল বৃহস্পতিবার শুনানিতে বলেছেন, সিবিআই বা ইডির তরফে কোনও সমন পাঠানো হয়নি। শুধু বিধানসভার স্পিকারকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। তাতে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা বলেন, যেহেতু নোটিস পাঠানো হয়েছে তাই বিধানসভার অধ্যক্ষের সঙ্গে বারে বারে দেখা করার কোনও দরকার নেই সিবিআই ও ইডির। আজ এই মামলার পরবর্তী শুনানিতে বিস্তারিত নির্দেশ দেবে হাইকোর্ট বলে জানা গেছে।