উলুবেড়িয়ায় সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশ,
নীহারিকা মুখার্জ্জী,
করোনা শুধু মানব সমাজের ক্ষতি করেনি, অফুরন্ত অবসরে ঝিমিয়ে পড়া বাংলা কাব্য-সাহিত্য জগতে নতুন করে প্রাণ সঞ্চার করেছে। সমাজ মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য উন্নত মানের সাহিত্যচর্চা গ্রুপ। সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে নতুন নতুন কবি প্রতিভার। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অনুষ্ঠিত সাহিত্য অনুষ্ঠানে প্রকাশিত ভিন্ন স্বাদের বই কাব্য পিপাসু পাঠকের কাব্য পিপাসা মেটাচ্ছে।
গত ২রা অক্টোবর চতুষ্কোণ সাহিত্যাঙ্গন-এর উদ্যোগে উলুবেড়িয়ায় নিমদীঘি পানপুর মোড়ের 'শুভম'- হলে এক সাহিত্য সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত প্রায় দুই শতাধিক কাব্য-সাহিত্য প্রেমী মানুষের উপস্থিতিতে এক আড়ম্বর পূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে 'চতুষ্কোণ সাহিত্যাঙ্গন'-এর প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক রজনীকান্ত মাখাল -এর সম্পাদনায় একশ চুরাশি জন কবি'র যৌথ কাব্যগ্রন্থ 'সূর্যোদয়', কবি মল্লিকা পালের একক কাব্যগ্রন্থ 'মনোবীণা' ও কবি কৃষ্ণশঙ্কর আচার্যির একক কাব্যগ্রন্থ 'সাঁওতালির সেরেঞ্চ' আত্মপ্রকাশ করে।
অনুষ্ঠানে যেসব কবির কবিতা গ্রন্হটিতে স্হান পেয়েছে তাদের প্রত্যেককে গলায় উত্তরীয় পড়িয়ে ও হাতে স্মারক সম্মাননা তুলে দিয়ে সম্মান জানানো হয়। সঙ্গীত, স্বরিত কবিতা পাঠ, আবৃত্তিতে অনুষ্ঠানটি ভরপুর ছিল। প্রবীণ কবিরা তাদের অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার নবীন কবি প্রতিভাদের সামনে তুলে ধরেন। আলোচিত হয় কবিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সম্পাদক নিজে।
এর আগে প্রদীপ প্রজ্বলন করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন
কবি- নাট্যকার অনুপ চক্রবর্ত্তী এবং পত্রিকার মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধান অতিথি অধ্যাপক-প্রাবন্ধিক ডঃ আক্রম হোসেন । এছাড়াও এই সাহিত্যানুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অধীরকৃষ্ণ মণ্ডল, ছড়াকার বিকাশ রায়, ঝর্ণা দত্ত, অনুপম পরিয়ারী, ডঃ সত্যব্রত মজুমদার, লক্ষণ কুণ্ডু, প্রিয়াঙ্কা ব্যানার্জী, শুভ্রা চন্দ্র, প্রগতি চাকমা, রুমকী দত্ত, বরুণ চন্দ্র পাল, মধুমিতা হালদার, গৌরী ঘোষ, ঝুমা মল্লিক, শিল্পী সুদেষ্ণা ভুঁইয়া, রজত গোস্বামী, কৃপামোহন চাকমা প্রমুখ।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কবি সুব্রত মিত্র। তিনি বললেন – এর আগেও অনেক সাহিত্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকেছি। এখানে এক বিরল অভিজ্ঞতা লাভ করলাম।
অন্যদিকে রজনীকান্ত বাবু বললেন – ছোট থেকে কবিতা লিখতাম। কিন্তু বিভিন্ন কারণে সেগুলি ছাপার অক্ষরে প্রকাশ করার মত সঙ্গতি ছিলনা। তাই মনের মধ্যে ইচ্ছে ছিল শুধু নিজের নয় অন্যান্য কবিদের লেখা কবিতা নিয়ে বই প্রকাশ করা। আজ সেই ইচ্ছে পূরণ হলো। মনের মধ্য সযত্নে লালিত দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হওয়ার জন্য দৃশ্যত তাকে খুশি লাগছিল। প্রসঙ্গত রজনীকান্ত বাবু ইতিমধ্যে সহস্রাধিক কবিতা লিখে ফেলেছেন। তার ইচ্ছে সবগুলো ছাপার অক্ষরে প্রকাশ করা।