শান্তিপুর বিধানসভা উপ নর্বাচনে প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না বিজেপি
শ্যামল রায়, শান্তিপুর,
উপ নির্বাচনের দিন ঘোষণার সাথে সাথে শান্তিপুর বিধানসভা এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব কর্মী-সমর্থকরা ছোট ছোট বৈঠকের মধ্যে দিয়ে ভোট প্রক্রিয়া শুরু করে দিল। অথচ বিজেপি তাদের দলের প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না। কেউ পরাজয়ের ভয়ে প্রার্থী হতে চাইছেন তা। কারণ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক উন্নয়নমূলক কর্মযজ্ঞ একাধিক সরকারি প্রকল্পের সুযোগ মানুষ যেভাবে পেয়েছেন পাচ্ছেন দুয়ারে সরকারের রেশন থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু মানুষ পেয়ে গেছেন। তাই বিজেপির যে কোনো প্রার্থী মানুষের কাছে যেতে ভয় পাচ্ছেন বলতে পারছেন না তাই কেউ হেরে যাওয়ার ভয়ে প্রার্থী হবার সম্মতি দিচ্ছেন না। তাই মহাসংকটে বিজেপি। প্রার্থী পাচ্ছে না বিজেপি। ভোট প্রচারে তাই ব্যাকফুটে। এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস। রেকর্ড ভোটে জিতবে তৃণমূলের প্রার্থী। আশায় ভোট প্রচারে তৃণমূল।
বুধবার তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে শান্তিপুর বিধানসভা এলাকার হরিপুর, গয়েশপুর, বাগআঁচড়া এলাকায় কর্মী বৈঠক করলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এই কর্মী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের উত্তর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি রত্না ঘোষ কর, শান্তিপুর শহর সভাপতি বৃন্দাবন প্রামানিক, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নিমাই বিশ্বাস, নদীয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুন্ডু সহ অনেকে। ইতিমধ্যে দেওয়াল দখলের কাজ প্রায় শেষের মুখে। প্রার্থীর নাম ঘোষণা হলেই দেওয়ালে লেখা হবে জানিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
তৃণমূলের সহ-সভাপতি বৃন্দাবন প্রামানিক জানিয়েছেন যে শান্তিপুর বিধানসভা এলাকায় ভোটে জিতে বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার মানুষের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। ১৫ দিনের মাথায় বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছেন এর জবাব ভোট দেবেন। দলে দলে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করছেন। তাই তৃণমূল রেকর্ড ভোটে জিতবে এবার আমাদের বিধানসভা এলাকায়। বিধায়ক হীন বিধানসভা চলছে শান্তিপুর। ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে নেবার প্রয়োজনে ছুটতে হচ্ছে কয়েক কিলোমিটার দূর কৃষ্ণনগর অথবা রানাঘাটে তাই মানুষ ভোটের মধ্যে জবাব দেবেন বিজেপিকে। তৃণমূল জিতছে। সাংসদ জগন্নাথ সরকার শান্তিপুর বাসীর জন্য কথা দিয়েছিলেন নদীভাঙনে কেন্দ্র থেকে টাকা নিয়ে আসবেন নদী ভাঙ্গন রোধ হবে। সংসদে কথা বলবেন তিনি একটি ও কথা বলেননি। অথচ নদী ভাঙ্গনে পৌরসভার দুটি ওয়ার্ড ১৬ নম্বর এবং ২৪ নম্বর ওয়ার্ড এবং ব্রকের তিনটি অঞ্চল বেলঘড়িয়া এক নম্বর ,বেলঘড়িয়া দুই নম্বর, হরিপুর এবং গয়েশপুর অঞ্চল ভাঙ্গনের কবলে। জগন্নাথ সরকারের মিথ্যে কথায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন ক্ষোভে ফুঁসছেন। ভোটে জবাব দেবেন বিজেপিকে কিভাবে হারাতে হয় মানুষ তৈরি প্রস্তুত। শহর সভাপতি বৃন্দাবন প্রামানিক আরও জানিয়েছেন যে মূলত শান্তিপুর ফুলিয়া তাঁত শিল্পীদের বসবাস বেশি। জগন্নাথ সরকার কথা দিয়েছিলেন তাঁতিদের কাছ থেকে তাঁত শাড়ি নিয়ে এক্সপোর্ট করবেন রপ্তানি বাড়াবেন এর একটিও কাজ তিনি করেননি। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী নেতৃত্বে জোটবদ্ধ হয়ে ভোট ময়দানে নেমে পড়েছেন। তৃণমূলের জেলা সভাপতি রত্না ঘোষ জানিয়েছেন যে এটা বড় কথা নয় রেকর্ড ভোটে আমাদের প্রার্থী জিতবে সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা কর্মী বৈঠক থেকে শুরু করে জনসংযোগ বাড়ানোর উপর জোর দিয়েছি এবং উন্নয়নকে হাতিয়ার করে বাড়ি বাড়ি আমাদের কর্মী নেতৃত্ব যাচ্ছেন। বিজেপির লোকজনদের দেখা নেই। শান্তিপুর পৌরসভা এলাকায় আমাদের উন্নয়নকে আরও সম্প্রসারিত করার এবং কর্মযজ্ঞ বাড়ানোর ওপর জোর দিয়ে ভোট প্রচার শুরু করে দিয়েছি জানালেন রত্না ঘোষ কর। পৌরসভার ২৪ টি ওয়ার্ডে কর্মী বৈঠকের মধ্যে দিয়ে প্রার্থীর রেকর্ড বোর্ড পেয়ে জয়লাভের লক্ষ্য নিয়ে প্রচার দেওয়াল যখন শুরু হয়ে গেছে জোরকদমে। রত্না ঘোষ কর আরো জানিয়েছেন যে ইতিমধ্যে বিজেপির ভাঙ্গনে দিশেহারা বিজেপি। দলে দলে বিজেপি কর্মী নেতা সদস্য যোগদান করছেন আমাদের তৃণমূল কংগ্রেসে। কারণ বিজেপির থেকে মোহভঙ্গ হয়েছে কর্মীদের। উন্নয়নের শরিক হতে দলে দলে তৃণমূলে।