উত্তরপ্রদেশে প্রাইমারি স্কুলে এখনও জাতিগত ভেদাভেদ
সোমনাথ ভট্টাচার্য,
এখনও জাতপাতের ভিক্তিতে ভেদাভেদ রয়েছে উত্তরপ্রদেশের মাইনপুরি জেলার দাউদাপুর সরকারি প্রাইমারি স্কুলে। এই স্কুলে ৮০ জন ক্ষুদে পড়ুয়া রয়েছে। এদের মধ্যে ৬০ জন তপসিলি উপজাতি ভুক্ত।আর তাই স্কুলে সেসব কচিকাঁচাদের জন্য নিয়মকানুন আলাদা। খাওয়া-দাওয়ার জন্য আলাদা পাত্র রাখা আছে এই ৬০ জনের। এদের জন্য রান্নাও হয় অন্যত্র, বাকি ২০ জন ছাত্রছাত্রীর থেকে আলাদা রেখে। প্রথম থেকেই স্কুলে এই রেওয়াজ চলে আসছে। তবে তা সম্প্রতি সামনে এসেছে, কারণ এই ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে কিছুদিন আগে। ঘটনা জানাজানি হতেই পদক্ষেপ করেছে ব্লক প্রশাসন। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে সরকারি আধিকারিকরা স্কুলটির ব্যবস্থাপনা দেখে এসেছেন নিজের চোখে। তারপরই সাসপেন্ড করা হয়েছে ওই শিক্ষিকাকে। শুধু তাই নয়, ওই স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য যাঁরা মিড ডে মিল রান্না করেন, তাঁদের প্রশ্ন করা হলে তাঁরা জানিয়েছেন, তফসিলি জাতিভুক্ত পড়ুয়াদের থালা বাসন স্পর্শ করতে পারবেন না তাঁরা। একথা শোনার পর তাঁদেরকেও চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে প্রকাশ । জানা যাচ্ছে, ওই এলাকার নতুন সরপঞ্চ মঞ্জু দেবীর স্বামী সাহেব সিং এই স্কুলের রীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তখনই সামনে এসেছে সব কিছু। সিং জানিয়েছেন, ওই স্কুলে পাঠরত কিছু পড়ুয়ার বাবা মা তাঁর কাছে অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন। স্কুলে নিজে গিয়েও বিষয়টি যাচাই করে এসেছিলেন তিনি। তারপর এই ব্যবস্থা বন্ধ করতে উদ্যোগী হন। সমাজের এই ভেদাভেদ মিটলো না ডিজিটাল যুগেও!