ভবানীপুর উপনির্বাচনে শুভেন্দুর বাজি বিরোধী দলনেতার পদ!
জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি,
, রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচনের ময়দানে না নামলেও বিধানসভার উপনির্বাচনে ভবানীপুর নিয়ে সিরিয়াস বঙ্গ বিজেপি। একুশে বিধানসভা নির্বাচনে সর্বশক্তি প্রয়োগ যেমন ঘটিয়েছিল বিজেপি। এবারেও তার কসুর কম নেই বিজেপির তরফে।সোমবার প্রচারে এসে রাজ্যের বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী তাঁর বিরোধী দলনেতার পদ কে বাজি রাখলেন ভবানীপুরে। যদি বিজেপি প্রার্থী এখানে জিতেন।তাহলে তাঁকেই বিরোধী দল নেত্রী করবার সুপারিশ রাখবেন দলীয় উচ্চ নেতৃত্বের কাছে।আজ ভবানীপুরের যদুবাজারে সভা থেকে বিরোধী দলনেতা বলেন, -”আমি শীর্ষ নেতৃত্বকে বলব, প্রিয়াঙ্কা ভবানীপুর থেকে জিতলে আমার চেয়ারটা ওকে ছেড়ে দেব।”.এবারের বিধানসভার ভোটে নন্দীগ্রাম ছিল বাংলার হেভিওয়েট আসন। সেখানে মমতা-শুভেন্দু লড়াইয়ে চোখ ছিল সর্বভারতীয় স্তরেরও। তাতে শুভেন্দু জিতেছেন। যদিও নন্দীগ্রামের ভোট গণনা নিয়ে মামলা চলছে হাইকোর্টে। পরাজিত হওয়ার পরেও মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছ’মাসের মধ্যে নির্বাচিত হতেই ভবানীপুর থেকে লড়তে হচ্ছে মমতা কে। এদিন শুভেন্দু বোঝাতে চাইলেন, তিনি একবার মমতাকে হারিয়েছেন। তারপর বিরোধী দলনেতা হয়েছেন। এবার প্রিয়াঙ্কা হারালে, তিনিই বসবেন সেই পদে। শুভেন্দুর এ হেন ঘোষণা শুনে তৃণমূলের এক মুখপাত্র বলেন, – ‘শুভেন্দু জানেন প্রিয়াঙ্কা জিতবেন না, তাই এসব বলেছেন। উনি কিছু ছাড়তে জানেন না। শুধু পদ আঁকড়ে থাকতে জানেন। ওঁর জন্যই বিজেপির বিধায়করা বিধানসভার কোনও কমিটির চেয়ারম্যান পদ পাননি।’ নন্দীগ্রামের ভোট নিয়ে এদিনও মমতার বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন , ‘শুভেন্দু অধিকারীকে হারাতে নন্দীগ্রামে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু নিজেই হেরে চলে এসেছেন। এমন বাউন্ডারি মেরেছি এখানে চলে এসেছেন।’ তবে এ নিয়ে ভবানীপুরের প্রচারে মমতা একাধিকবার বলেছেন, ‘নন্দীগ্রামে কী ভাবে কারচুপি করা হয়েছে তা আপনারা জানতে পারবেন। কোর্টে কেস চলছে, তাই আমি কিছু বলছি না।’ এখন দেখার ভবানীপুরে উপনির্বাচন ঘিরে ভোটের ফলাফল কিসের ইংগিত দেয়?