সাধন মন্ডল,
সিমলাপালে বিপদজনক বাড়িতে অসহায় পরিবারের বসবাস, কবে হবে সুরাহা?
সিমলাপাল পেট্রোল পাম্পের নিকট বাড়ি বাবলু সিংহ র। অস্বাস্থ্যকর ও বিপদজনক ঝুপড়ি বাড়িতে সাতজনের সংসার। এই বাড়িতেই চার ভাই নিজের স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে প্রাণ হাতে বসবাস করেেন বাবলু সিংহ এর পরিবার। ভূমিহীন ,খুবই গরীব ছোট্ট একটি চা দোকান একমাত্র সম্বল। বাবলুর স্ত্রী টুকটুকি জানালেন আজ প্রায় বছর পাঁচেক বর্ষা শুরু হলেই সারা ঘরের মেঝেতে ঝরনা ফুটে জল বের হয়। এ বছরও তার ব্যাতিক্রম হয়নি এই অবস্থায় দুই শিশুপুত্র নিয়ে সকলে মিলে কষ্ট করে থাকি। বাবলু সিংহ জানালেন পঞ্চায়েত ,বিডিও অফিসে বারবার আবেদন করেছি বিকল্প বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে। কিন্তু কোন কাজ হয়নি। বুধবার দুপুরে বাবলুর বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল ঘরের ভিতরে থালা-বাটি জলে ভেসে বেড়াচ্ছে। দেয়াল ফেটে চৌচির। ভিজে দেওয়ালে বিপজ্জনকভাবে ঝুলে রয়েছে বিদ্যুৎবাহী তার। ঝুপড়ির অন্ধকার ঘরে টুকটুকি দেবী যখন ঘুরে ঘরের অবস্থা দেখাচ্ছিলেন তখন অঝোরে কাঁদছিলেন। ঘরের মেঝে থেকে নালা করে রাস্তার ধার হয়ে প্রায় ৭০ মিটার দূরে এক পুকুরে পড়ছে তাদের ঘরের ভিতরের জল। এই বিষয়টি সিমলাপাল পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ কাঞ্চন পালের কাছে জানতে চাইলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে সিমলাপাল থানার আইসি তাপস দত্ত কে সাথে নিয়ে বাবলু সিংহের বাড়ি যান। কাঞ্চন বাবু বিষয়টি বিডিও অরিজিৎ দাস এর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিদের ঘটনাস্থলে পাঠান। পরিবারটি কে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে যেতে চাইলেও বেঁচে থাকার একমাত্র সম্বল ছোট্ট চা দোকা বন্ধ হয়ে যাবে এই কারণে বাবলুর পরিবার অন্য জায়গায় যেতে রাজি হননি। প্রশাসনের কর্তারা কথা দিয়েছেন অদূর ভবিষ্যতে বিকল্প নিরাপদ বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ কাঞ্চন পাল বলেন এই পরিবারটির পাশে আমরা ও আমাদের সরকার রয়েছে যত শীঘ্র সম্ভব পরিবার টি কে সাহায্য করা হবে যাতে অবিলম্বে কিছু ব্যবস্থা করা যায় তার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে যোগাযোগ করব মাননীয় বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তীর কাছে সাহায্যের আবেদন জানাব