সাধন মন্ডল,
জঙ্গলমহল জুড়ে সার ব্যবসায় কালোবাজারি চলছে জোর কদমে। জঙ্গলমহলের সারেঙ্গা, রাইপুর রানিবাঁধ, সিমলাপাল, সহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় এই সময় ধানে চাপান দেওয়ার জন্য সারের প্রয়োজন জেলার বিভিন্ন জায়গায় সারের ব্যবসায়ীরা চড়া দামে সার বিক্রি করছেন এক বস্তা ইউরিয়া (50) কেজি যার মূল্য বস্তার উপর লেখা আছে 266 টাকা সেখানে রাইপুর সারেঙ্গা এলাকায় বিক্রি হচ্ছে 400 থেকে 500 টাকার মধ্যে। অথচ যদি কোনো চাষী তার আধার কার্ড নিয়ে ব্যবসায়ীর কাছে হাতের ছাপ দিয়ে সার কিনতে যাচ্ছেন তখন যে স্লিপ ইসু হচ্ছে তাতে 266 টাকা মূল্যে লেখা থাকছে অথচ তিনি যখন সার বস্তাটি নিতে যাচ্ছেন তখন তাকে কখনো সাড়ে 400 কখনো পাঁচশ টাকা দিয়ে নিতে হচ্ছে নতুবা সার ব্যবসায়ীরা চাষীদের সার দিচ্ছেন না। এ ব্যাপারে সারেঙ্গা ব্লকের চাষী রবিন মন্ডল চাষী গোপীনাথ মাণ্ডী রাইপুর ব্লকের হরিপদো মাহাতো, বলরাম বাস্কে, সুদীপ কর্মকার, রামধন টুডুরা বলেন আমরা কি করব উপায় নেই। এই সময় আমাদের ধানে চাপান দেওয়ার সময় ব্যবসায়ীরা যা দাম বলছেন তাই আমাদেরকে দিতে হচ্ছে যখন তাদের বলছি বস্তার উপরে যে দামলেখা আছে আপনি সেটাই নেন তখন বলছেন সার নেই, আপনাকে সার বিক্রি করব না আপনাকে দেবোনা এইসব নানা অজুহাত দেখাচ্ছেন, তাই বাধ্য হয়ে প্রয়োজনের তাগিদে বেশি দাম দিয়ে কিনতে বাধ্য হচ্ছি আমরা। এ ব্যাপারে রাইপুর ব্লক সহ কৃষি অধিকর্তা তথাগত নাথকে জানালে তিনি বলেন দেখছি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি এর আগে ধান চাষের সময়ও তাকে জানানো হয়েছিল উনি তখন বলেছিলেন দেখছি তা কবে দেখবেন সেই দিকেই তাকিয়ে আমরা।। চাষী স্বপন দাস বলেন আমার 12 বিঘা ধান চাষ রয়েছে এই সময় ধানে ইউরিয়া সার চাপান হিসাবে দেওয়ার কথা দেরি করলে ধানের ফলন মার খাবে তাই বাধ্য হয়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। সরকার বিষয়টি নিয়ে অবিলম্বে ভাবনা চিন্তা না করলে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। একে ধানের দাম নেই তার উপর ধান উৎপাদন করতে গিয়ে সারের সঙ্গে বিভিন্ন জিনিসপত্রের যা দাম তাতে চাষ করে লাভের বদলে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। উৎপাদিত ফসলের ন্যাহ্য মূল্য না পেলেচাষীদের আত্মহত্যা করতে হবে।