হেফাজতে চাইলো না সিবিআই, জেল হেফাজতে কালিঘাটের কাকু
নিজস্ব প্রতিনিধি
শনিবার কলকাতার বিশেষ আদালতে উঠে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা। এবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করবে সিবিআই। শনিবার বিশেষ সিবিআই আদালত সিবিআইয়ের আবেদন মঞ্জুর করল। একইসঙ্গে সিবিআইয়ের আবেদন মেনে কালীঘাটের কাকুকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিলেন বিচারক। সুজয় ভদ্রকে কেন তাঁরা নিজেদের হেফাজতে আর রাখতে চাইছে না, এদিন সেই যুক্তিও দিলেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। গত বছরের ২৩ মে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় আর্থিক তদন্তকারী সংস্থা ইডি। দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন কালীঘাটের কাকু। তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ নিয়েও টানাপোড়েন চলছিল। শেষমেশ চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি জোকা ইএসআই হাসপাতালে তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এবার সিবিআই তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের অনুমতি পেল।গত চারদিন সিবিআই হেফাজতে ছিলেন কালীঘাটের কাকু। এদিন আর সুজয় ভদ্রকে নিজেদের হেফাজতে চায়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানোর আবেদন জানায়। কিন্তু, আর কেন নিজেদের হেফাজতে চাইছে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা?বিশেষ সিবিআই আদালতে সিবিআই আইনজীবী এদিন জানান, -‘ গত চারদিন অনশনে রয়েছেন সুজয় ভদ্র। খাবার, ওষুধ কিছুই খাচ্ছেন না। এরফলে বাড়ছে সুগারের লেভেল’। অনশন করার কারণ নিয়ে সিবিআই আইনজীবী বলেন, -‘উনি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। জানেন অনশন করে সমস্যার অন্যরকম সমাধান হয়। অনশন করে মেডিক্যাল এমার্জেন্সি তৈরির চেষ্টা করছেন। এই পরিস্থিতিতে সুজয় ভদ্রকে আর নিজেদের হেফাজতে রাখতে চায় না সিবিআই’।সিবিআইয়ের আইনজীবী আরও বলেন, -‘ সুজয় ভদ্র তদন্তে সাহায্য করছেন না। তিনি অনেক কিছু জানেন। কিন্তু, কিছু বলছেন না। তিনি প্রভাবশালী ব্যক্তি। জামিন পেলে তদন্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা করতে পারেন’। অপরদিকে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের আইনজীবী জানান , -‘ নিয়ম মেনে ভয়েস স্যাম্পেল নেওয়া হোক। তাঁর মক্কেল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। ফলে তাঁর সঙ্গে রাজনৈতিক নেতাদের কোনও যোগাযোগ নেই। তিনি অসুস্থ। বাইপাস সার্জারি হয়েছে, স্ত্রী মারা গিয়েছেন। এসব বিচার করে জামিন দেওয়া হোক। জামিন দিয়ে প্রয়োজনে হাউস অ্যারেস্ট করা হোক’। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর কালীঘাটের কাকুকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিশেষ আদালতে সিবিআই এজলাসের বিচারক।