হাইকোর্টে জামিনের পিটিশন প্রত্যাহার করলেন কল্যাণময়
বৈদূর্য ঘোষাল ,
গত বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় পরিস্কারভাবে জানিয়েছিল – ‘ কোনভাবেই কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় কে এই মুহূর্তে জামিন দেওয়া সম্ভব নয় ‘। অযোগ্যদের চাকরি তো ভালোবেসে দেওয়া হয়নি! এইরকম পর্যবেক্ষণ ছিল বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির। বৃহস্পতিবার কলকাতা
হাইকোর্ট থেকে জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় । গত বুধবারই তাঁকে আবেদন প্রত্যাহারের সুযোগ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট । সেই মোতাবেক বৃহস্পতিবার আবেদন প্রত্যাহার করলেন তিনি।এদিন আবেদনকারীর আইনজীবী ডিভিশন বেঞ্চে জানান যে -‘ কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করতে চান’। তা আদালত গ্রহণ করে থাকে। গত বুধবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী তাঁর মৌখিক পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিলেন, -‘ যেহেতু সিবিআই এই মুহূর্তে নিয়োগ দুর্নীতিতে আর্থিক কেলেঙ্কারির দিকটি খতিয়ে দেখছে, তাই এই মুহূর্তে জামিন দেওয়া সম্ভব নয়। আবেদন প্রত্যাহার না করা হলে, তা খারিজ করা হবে ‘ বলে জানিয়েছিল আদালত। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চে ছিল এই মামলার শুনানি।নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে। শান্তিপ্রসাদ সিনহার কাছ থেকে সুপারিশপত্র নিয়ে নিজেই সরাসরি নিয়োগপত্র দিতেন, এমনই অভিযোগ উঠেছে কল্যাণময়ের বিরুদ্ধে। সাড়ে তিন মাসের বেশি সময় ধরে জেলে রয়েছেন তিনি। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে তিনি জামিনের আবেদন করেন।গত বছর ১৫ সেপ্টেম্বর কল্যাণময়কে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সিবিআইয়ের দাবি, -‘ অযোগ্য প্রার্থীদের সুপারিশপত্র বানিয়ে দিতেন তিনিই। সেই সুপারিশপত্রের ভিত্তিতেই হয়েছে যাবতীয় অবৈধ নিয়োগ। তার ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয় কল্যাণময়কে। সেই মামলায় চার্জশিট দাখিল হয়ে গিয়েছে’। এরপরই জামিনের আবেদন করা হয়। সেই মামলায়, জয়মাল্য বাগচি এজলাসে জানান ,-‘ আমরা এই দুর্নীতির কার্যপ্রণালী এবং এই দুর্নীতিতে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের ভূমিকা জানতে চায় আদালত’। কোনও আর্থিক লেনদেন হয়েছে কি না, কত জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে, সে সব খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। তিনি মন্তব্য করেন, ‘চাকরি নিশ্চয়ই ভালোবাসার কারণে দেওয়া হয়নি? টাকার লেনদেন আছে কি না খুঁজে দেখুন।’ এখন দেখার সিবিআই তদন্তের গতি কতটা বৃদ্ধি করে?