Spread the love

 হাইকোর্টে ইডির মামলায় জামিন পেলেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় 

মোল্লা জসিমউদ্দিন  

মঙ্গলবার শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি কাণ্ডে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-র করা মামলায়  কলকাতা হাইকোর্টে  জামিন পেলেন হুগলির  শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ।যদিও সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলায় জামিন না পাওয়া এখনই জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন না তিনি। পাশাপাশি মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ শিক্ষক দুর্নীতির মামলা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে জামিন দিলেও একাধিক শর্ত আরোপ করেছেন। পাসপোর্টও জমা রাখতে বলা হয়েছে জেলবন্দি শান্তনু কে।আদালত সূত্রে প্রকাশ , মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইডির করা মামলায় ১০ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ড জামিন দিয়েছেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু, তাঁর জামিনের ওপরে একাধিক শর্ত জারি করেছেন বিচারপতি। ইডির করা শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেও এই বিষয়ে সিবিআইয়ের করা মামলায় জামিন হয়নি শান্তুনুর। পাশাপাশি এবার প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। উল্লেখ্য,  হুগলি জেলা পরিষদের তৎকালীন কর্মাধক্ষ্য ও যুব নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম শিক্ষক দুর্নীতির মামলায় জড়ানোর পর ২০২৩ সালের মার্চ মাসে তাঁকে গ্রেফতার করেন ইডির তদন্তকারীরা। পরে একই মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআইও। সেই মামলায় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের জামিন পাওয়ার পরের দিনই জামিন পেলেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে গত ২০ নভেম্বর  এই মামলায় জামিন পেয়েছেন আরেক জেলবন্দি তৃণমূল যুব নেতা কুন্তুল ঘোষও। যদিও সিবিআইয়ের করা মামলায় জামিন না পাওয়া জেল থেকে মুক্তি পাননি তিনিও। ২০২৩ তাপস মণ্ডলের মুখ থেকে শিক্ষক দুর্নীতি কাণ্ডে প্রথম নাম শোনা গেছিল কুন্তল ঘোষের। কুন্তলকে তিনি শিক্ষক নিয়োগের জন্য কয়েক কোটি টাকা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ জানিয়ে ছিলেন। এরপর কুন্তল ঘোষকে বেশ কয়েক দফা জেরার পর গ্রেফতার করে ইডি। তারপর গ্রেফতার হন হুগলির আরেক নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ও।সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র এবং শান্তনুকে আদালতে হাজির করানোর জন্য আবেদন করেছিল সিবিআই। বিশেষ আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত  হিসাবে উঠে আসে শান্তনুর নাম। ২০২৩ সালের ১০ মার্চ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর শান্তনুর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের একটি তালিকা উদ্ধার করেন ইডি আধিকারিকরা। সেই তালিকায় রাজ্যের ১৭টি জেলার ৩৪৬ জন প্রার্থীর নাম ছিল বলে জানা গিয়েছে।ইডির চার্জশিটে শান্তনুর বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ আনা হয়েছিল। সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়, ২৬ জন প্রার্থীকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রায় ১কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন শান্তনু। তবে আইনি সমস্যা এড়াতে বিভিন্ন নামে অ্যাকাউন্ট খুলে সেই কালো টাকা সাদা করার চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। আপাতত ইডির তরফ থেকে জামিন পেলেন শান্তনু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *