হাইকোর্টের নির্দেশ আজ আলিপুর আদালতে সুবীরেশ কে পেশ করবে সিবিআই
অনিন্দ্য চট্টরাজ,
বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এক মামলার শুনানি চলাকালীন প্রশ্ন তোলেন যে, -‘নিয়োগ দুর্নীতির নতুন মামলায় কেন সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করা হয়নি?’ এর পাশাপাশি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই কে নির্দেশ দিয়েছেন, -‘ শুক্রবার পৃথক মামলায় গ্রেফতারির বিষয়ে আর্জি জানিয়ে সুবীরেশকে আলিপুর জেলা আদালতে পেশ করতে হবে’।নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ মামলায় সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তারপর সিবিআই আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে। এফআইআরে তাঁর নাম ছিল না। তাই হাইকোর্টে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে সুবীরেশ জামিনের আবেদন করেছেন।এদিন সেই মামলার শুনানিতে সিবিআইয়ের কাছে আগামী ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট চেয়েছে বিচারপতি বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। সেখানে বলা হয়েছে, -‘চার্জশিটে যাঁর নাম নেই, এফআইআরে যাঁর নাম ছিল না, তাঁকে কেন আটকে রাখা হয়েছে?’সিবিআই তখন জানায়, -‘ গ্রুপ সি মামলায় সুবীরেশকে হেফাজতে নিতে চেয়ে তাঁরা আলিপুর আদালতে পৃথক আবেদন করেছে। তার শুনানি রয়েছে ২২ ডিসেম্বর’। সুবীরেশদের জামিন মঞ্জুর না করলেও বিচারপতি বাগচীর বেঞ্চ সিবিআইয়ের কাছে রিপোর্ট চায়, কেন তাঁকে আটকে রাখা হয়েছে?অন্য একটি মামলার শুনানির সময়ে বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় এ ব্যাপারে অবগত হন। তারপর স্বতঃপ্রণোদিতভাবেই বলেন, -‘ গত ১২ ডিসেম্বর যদি নতুন মামলায় সুবীরেশকে গ্রেফতার করার জন্য সিবিআই আলিপুর জজ কোর্টে আবেদন করে থাকে তার শুনানির দিন ২২ ডিসেম্বর কেন হবে? ১০ দিন কেন সময় লাগবে? বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় এজলাসে প্রশ্ন তোলেন, -‘ প্রেসিডেন্সি জেল থেকে আলিপুর আদালতের দূরত্ব কত? শুনানির দিন ধার্য হতে ১০ দিন কেন লাগবে?’বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এদিন দু’টি নির্দেশ দিয়েছেন।প্রথমটা হলো , -‘ কেন শুনানি ১০ দিন পরে দেওয়া হল তা আলিপুর জেলা জজ কোর্টের বিচারককে রিপোর্ট আকারে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা দিতে হবে’। দ্বিতীয় টি হলো -‘ ওই আর্জি নিয়ে শুক্রবারই সুবীরেশকে আলিপুর আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সেই মামলায় সিবিআই আর্জি জানাবে, গ্রুপ সি নিয়োগ দুর্নীতিতে সুবীরেশকে হেফাজতে নেওয়ার’। আজ অর্থাৎ শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আলিপুর সিবিআই এজলাসে পেশ করার কথা সুবীরেশ ভট্টাচার্য কে।