স্কুলে কম্পিউটার চুরিতে বড়সড় সাফল্য মঙ্গলকোট পুলিশের
মোল্লা জসিমউদ্দিন টিপু ,
হেফাজতে নেওয়ার চব্বিশ ঘন্টার মধ্যেই বড়সড় সাফল্য পেল পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট থানার পুলিশ। শনিবার কাটোয়া মহকুমা পুলিশ অফিসারের অফিসঘরে এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে স্কুলের কম্পিউটার চুরিতে পুলিশি সাফল্য তুলে ধরে হয়।এসডিপিও কৌশিক বসাক, মঙ্গলকোট আইসি পিন্টু মুখার্জি ছিলেন এই সাংবাদিক সম্মেলনে। স্কুলের চুরি হয়ে যাওয়া ১৩ টি কম্পিউটারের মধ্যে ৯ টি উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার কাটোয়া মহকুমা আদালতে এসিজেম এজলাসে ধৃত কম্পিউটার শিক্ষক কে পেশ করা হলে দুদিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। আগামী সোমবার পুনরায় ধৃত কে আদালতে পেশ করা হবে বলে জানিয়েছেন মঙ্গলকোট আইসি পিন্টু মুখার্জি। স্কুলের কম্পিউটার চুরিতে ধৃত সেই স্কুলেরই শিক্ষক জড়িত! হ্যাঁ ঘটনা টি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট এলাকায়। গত শুক্রবার কাটোয়া মহকুমা আদালতে এসিজেম এজলাসে পেশ করা হয়েছিল ধৃত শিক্ষক কে।মঙ্গলকোট এলাকার একটি স্কুলের একাধিক তালা ভেঙে ১৩ টি কম্পিউটার চুরির অভিযোগে ওই স্কুলেরই চুক্তি ভিত্তিক কম্পিউটারের শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ । পুলিশ জানিয়েছে,ধৃতের নাম শুভাশিষ সাহা ।তাঁর বাড়ি ভাতার থানার নিত্যানন্দপুর গ্রামে ।গত শুক্রবার ধৃতকে কাটোয়ার এসিজেএম আদালতে তুলে ৭ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানায় পুলিশ । ধৃতের দুদিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেছেন বিচারক ।চলতি মাসের ২১ তারিখে মঙ্গলকোট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বেলগ্রাম নলিনীরঞ্জন বিদ্যামন্দির বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির সভাপতি গোহগ্রামের বাসিন্দা রামকেশব ভট্টাচার্য । পুলিশের কাছে তিনি অভিযোগে জানান, গত অক্টোবর মাসের ১৫ তারিখে স্কুলে চুরির ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে কম্পিউটার রুমের ১০ টি কম্পিউটার, ২ টি প্রোজেক্টর ও পাশের প্রধান শিক্ষকের রুম থেকে আরও ৩ টি কম্পিউটার চুরি হয়ে গেছে । একটি আলমারি ভাঙা অবস্থায় রয়েছে । লন্ডভন্ড অবস্থায় রয়েছে অফিস রুমের সমস্ত নথিপত্র ।’পাশাপাশি তিনি অভিযোগ পত্রে জানান -‘ইতিপূর্বেও স্কুলের ২ টি মিনি সাবমার্সিবল পাম্পও চুরি হয়েছিল’ ,অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্তে নেমে স্কুলের চুক্তি ভিত্তিক কম্পিউটার শিক্ষক শুভাশিষ সাহার চুরিতে জড়িত থাকার কিছু প্রমান পায় পুলিশ । গত বৃহস্পতিবার শিক্ষককে আটক করে জেরা করতেই তিনি চুরিতে জড়িত থাকাত কথা কবুল করেন । জানা গেছে গত ২০১১ সাল থেকে স্কুলে কম্পিউটারের শিক্ষক হিসাবে চুক্তি ভিত্তিক কাজ করে যাচ্ছেন পুলিশি হেফাজতে থাকা শিক্ষকটি । শনিবার দুপুরে কাটোয়া মহকুমা পুলিশ অফিসারের অফিসে এক সাংবাদিক সম্মেলনে উদ্ধারকৃত ৯ টি চুরি যাওয়া কম্পিউটার দেখানো হয়।কাটোয়া মহকুমা পুলিশ অফিসার কৌশিক বসাক বলেন – ” অপরাধ দমনে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ অত্যন্ত কম সময়ের ব্যবধানে সাফল্য পেয়েছে “।