Spread the love

স্কুলের অনুদান নিয়ে দীর্ঘসূত্রতা, রুল জারি মুখ্যসচিব ও অর্থসচিবের বিরুদ্ধে 

জাহির আব্বাস

বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে রুল জারি করা হলো রাজ্যের মুখ্যসচিব ও অর্থসচিবের বিরুদ্ধে। চার বছরেও কেন আদালতের নির্দেশ কার্যকর করা হল না? রাজ্যের মুখ্য সচিব ও অর্থ সচিবের বিরুদ্ধে রুল ইস্যু করে জানতে চেয়েছে  কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন এই  নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের  বিচারপতি শেখর ববি শারাফের সিঙ্গল বেঞ্চ।এর আগে কলকাতা হাইকোর্ট একটি নির্দেশে বলা হয়েছিল, -‘ নোবেল মিশন নামে একটি স্কুলকে সরকারি অনুদান দিতে হবে’। গত ২০১৮ সালে নোবেল মিশন স্কুলকে সরকারি অনুদান দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। ওই মামলার শুনানির পর এই বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছিল রাজ্যের মাস এডুকেশন ডিপার্টমেন্ট। তবে অনুদান পাওয়াটা নির্ভর করবে ফিন্যান্স সেক্রেটারির অনুমোদনের ওপর। গত২০১৮ সালেই বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় রাজ্যকে ছয় সপ্তাহ সময় দিয়েছিল অনুমতি দেওয়ার জন্য। কিন্তু সেই নির্দেশ এখনও কার্যকর হয়নি। গত২০১৯ সালে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়। তারপর থেকে অনুমতি দেওয়া নিয়ে সময়ের দীর্ঘসূত্রতা বাড়ে। এদিন বিরক্ত হয়েই আদালত রাজ্যের দুই আমলার বিরুদ্ধে রুল জারি করে।গত ২০১৮ সালে মুকুন্দপুর নোবেল মিশন স্কুলকে সরকারি তকমা দিতে রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। কিন্তু সেই নির্দেশ চার বছরেও মানা হয়নি। মামলাকারীর আইনজীবী  জানান, -‘ এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দফতর ওই স্কুলকে সরকারি তকমা দিতে রাজি হয়। কিন্তু চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়াটা নির্ভর করে অর্থ সচিবের উপর। কারণ, নিয়মমাফিক সরকারি অনুমোদন পেলে সমস্ত খরচ বহন করতে হয় রাজ্যকে। কিন্ত তত্‍কালীন অর্থসচিব হরিকৃষ্ণ সেই অনুমোদন দেননি। পরবর্তী অর্থসচিব মনোজও বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন। সেই কারণেই ওই দুই আমলার কাছে জবাব চেয়েছে আদালত’।  মামলাকারীর আইনজীবী আরও বলেন –  ‘এত দিন ধরে অনুমোদন না পাওয়ার কারণে স্কুলটি আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্কুলের উন্নয়নের কাজ আটকে যায়। এমনকি সেখানে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকারা বেতন ও পেনশন নিয়ে দুচিন্তায় থাকেন’। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি শরাফ এজলাসে জানান ,- ‘তত্‍কালীন হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ কার্যকর করতে ৬ সপ্তাহ সময় দিয়েছিল রাজ্যকে। অথচ এখনও অবধি তা হল না। এর ফলে আদালত অবমাননা করা হয়েছে’। উল্লেখ্য গত ২০১৯ সালে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়েছিল হাইকোর্টে। এই মামলায় বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যসচিব ও অর্থসচিব এর বিরুদ্ধে রুল জারি করা হলো হাইকোর্টের তরফে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *