সুপ্রিম কোর্টে ওবিসি শংসাপত্র মামলার  শুনানি জানুয়ারিতেই

মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

এসএসসির চাকরি বাতিল মামলার পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল ওবিসি শংসাপত্র বাতিল সংক্রান্ত মামলা। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গাভাই-এর বেঞ্চে। তবে শেষ পর্যন্ত জানিয়ে দেওয়া হয় এই মামলার শুনানি এদিন হবে না। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি হতে পারে বলে জানা গেছে । কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এর নির্দেশ অনুযায়ী, -‘২০১০ সালের আগের ওবিসি শংসাপত্র বৈধ। তবে ২০১০ পরবর্তী অর্থাৎ ২০১১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রাজ্যের দেওয়া সমস্ত সার্টিফিকেট বাতিল করে দেওয়া হয়। তার ফলে বাতিল হয়ে যায় প্রায় ১২ লক্ষ ওবিসি শংসাপত্র। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশনামায় জানিয়েছে, -‘২০১০ সাল পরবর্তী ওবিসি সার্টিফিকেট বৈধ নিয়ম মেনে ইস্যু করা হয়নি। তাই শংসাপত্র বাতিলের নির্দেশ’। তবে শংসাপত্র বাতিলের ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও প্রভাব পড়েনি। তাঁদের সকলের চাকরি বহাল থাকবে বলেই জানায় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। দাবি জানানো হয়, -‘হাইকোর্টের রায়ের ফলে অনেক মানুষের সমস্যা হচ্ছে। এরফলে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক হাইকোর্টের নির্দেশের উপর। তবে এর আগের শুনানিতে রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। বলা হয়, -‘ধর্মের ভিত্তিতে কাউকে সংরক্ষণ দেওয়া যায় না’। রাজ্যের তরফেও জনানো হয়, ‘ধর্মের ভিত্তিতে’ কোনও শ্রেণিকে ওবিসি তালিকায় যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণিতে  ৭৭ টি সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্তি কলকাতা হাইকোর্ট  বাতিল করায় সুপ্রিম কোর্টে  তার বিরুদ্ধে রাজ্যের আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি হবে আগামী ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি। রাজ্যের আবেদন – আগামী শিক্ষাবর্ষ শুরু হওয়ার আগে এই মামলার নিস্পত্তি ঘটুক।মে মাসে সুপ্রিম কোর্টে গ্রীষ্মকালীন ছুটি শুরু হওয়ার আগেই মামলার নিষ্পত্তির আশ্বাস বিচারপতি বি আর গাভাই ও বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসির।’ন্যাশনাল কমিশন ফর ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসেস এই মামলায় হলফনামা দাখিল করেছে’ বলে জানান, সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা। উল্লেখ্য,  গত বছরের আগস্ট মাসে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ভি ওয়াই চন্দ্রচূড় এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নোটিশ জারি করে রাজ্যের কাছ থেকে এই ৭৭ টি সম্প্রদায়কে ওবিসি শ্রেণীতে কি পদ্ধতিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, তার ব্যাখ্যা চায়।জানতে চাওয়া হয়- (এক) কেমন সমীক্ষা করা হয়েছিল, (২) এই ৭৭ টি সম্প্রদায়কে অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসেস কমিশনের সঙ্গে পরামর্শ প্রক্রিয়ায় কোনও ঘাটতি ছিল কি?ওবিসি (অন্যান্য অনগ্রসর সম্প্রদায়) শংসাপত্র মামলার শুনানিও পিছিয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে। মঙ্গলবার এই মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা ছিল বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মসিহের বেঞ্চে। কিন্তু শুনানি হয়নি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৮ জানুয়ারি। এরফলে আপাতত ওবিসি শংসাপত্র নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ই বহাল রইল।

Leave a Reply