সিতাই উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীর জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে হস্তক্ষেপ করলো না হাইকোর্ট
মোল্লা জসিমউদ্দিন,
সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে বড়সড় আইনী স্বস্তি পেলেন আসন্ন উপনির্বাচনে এক তৃণমূল প্রার্থী। উত্তরবঙ্গের সিতাই কেন্দ্রে আসন্ন উপনির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী সঙ্গীতা রায়ের প্রার্থী পদ বাতিলের আবেদন খারিজ কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিল -‘ ১৩ নভেম্বর নির্বাচন। এই বিষয়গুলির পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। আদালত এ বিষয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করবে না। আবেদনকারী চাইলে নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানাতে পারেন’।আবেদনকারীর দাবি ছিল, -‘সিতাই কেন্দ্রের আসন্ন উপনির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী সঙ্গীতা রায়ের বিরুদ্ধে ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেয়। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের পুজাবকাশকালীন সিঙ্গেল বেঞ্চ নির্বাচন কমিশনকে এই অভিযোগ খতিয়ে দেখে ৪ নভেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের রেগুলার বেঞ্চে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। সঙ্গীতা রায়ের মনোনয়ন পত্র বাতিল করার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই কেন্দ্রের উপনির্বাচনের কংগ্রেস প্রার্থী হরিহর রায় সিংহ।মামলাকারীর দাবি, -‘সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রটি তপশিলি জাতিদের জন্য সংরক্ষিত। সেই জন্য সব দলের প্রার্থীরা জাতিগত শংসাপত্র মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময় হলফনামায় কি দিয়েছিলেন জানতে চাওয়া হলেও অবজারভাররা তা দেখাতে রাজি হননি। এর আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিতাই পঞ্চায়েত সমিতি থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন সঙ্গীতা এবং হলফনামায় স্বামীর নাম জগদীশ বর্মা বসুনিয়া লিখেছিলেন। যিনি বর্তমানে কোচবিহারের তৃণমূল সাংসদ। কিন্তু আসন্ন উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়ে তিনি যে হলফনামা জমা দিয়েছেন সেখানে স্বামীর নামের পরিবর্তে নিজের প্রয়াত পিতার নাম উল্লেখ করেছেন’। কংগ্রেস প্রার্থীর দাবি -‘সঙ্গীতা রায়ের বাবাও সংরক্ষিত শ্রেণীর মধ্যে পড়েননা। সম্পূর্ণ ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র বানিয়ে তিনি হলফনামা জমা দিয়েছেন। অবিলম্বে তার মনোনয়ন পত্র খারিজ করা হোক’।নির্বাচনী হলফনামায় তিনি তথ্য গোপন করেছেন। তাঁর মনোনয়ন বাতিল করা হোক। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েও কাজ হয়নি।ওই জনস্বার্থ মামলাটি করেছেন আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ১৩ নভেম্বর রাজ্যের ৬টি কেন্দ্রে উপনির্বাচন। ইতিমধ্যেই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন প্রার্থীরা। সিতাই উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল চেয়ে দায়ের জনস্বার্থ মামলা খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। অভিযোগ, তৃণমূল প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলফনামায় তথ্য গোপন করেছিলেন। তিনি তফসিলি জাতির অন্তর্ভুক্ত নন। তা হলফনামায় জানাননি। তাতে অবশ্য আমল দেয়নি কলকাতা হাইকোর্ট।এতে তৃণমূল প্রার্থীর বিধানসভার উপনির্বাচনে লড়তে বাধা রইলো।