সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করলে পুলিশ কে ব্যবস্থা নিতে বললো হাইকোর্ট
মোল্লা জসিমউদ্দিন,
সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে উঠে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর সংক্রান্ত মামলা।’সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করা হলে যে রাজনৈতিক দলই করুক না কেন তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে’, এমনটাই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট । সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করা হলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কেন উপযুক্ত সরকরি সম্পত্তি ভাঙচুরের ধারা প্রয়োগ করা হবে না? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত সুত্রে জানা গেছে, মালদহের পুকুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অর্থ তছরুপের অভিযোগে স্থানীয়দের একাংশ আন্দোলন করে থাকে । সেই আন্দোলনের ঘটনা থেকেই পঞ্চায়েত অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। কিন্তু পুলিশ সরকারি সম্পত্তি নষ্টের ধারা প্রয়োগ করেনি। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ নির্দেশ দেন, -‘ পরবর্তী শুনানিতে কেন ওই ধারা প্রয়োগ করা যাবে না? সে বিষয়ে একটি রিপোর্ট জমা করতে হবে রাজ্য প্রশাসনকে’।মালদহের পুকুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ নিয়ে দুস্কৃতিরা পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ জানান পঞ্চায়েতের প্রধান। রাজনৈতিক বিবাদের কারণে সরকারি অফিস কেন ভাঙচুর করা হবে? তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। একই সঙ্গে এই ধরনের ঘটনায় সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের সংশ্লিষ্ট ধারা কেন প্রয়োগ করা হয়নি তা নিয়ে পুলিশের আইনজীবীর কাছে জানতে চান বিচারপতি।অবিলম্বে অভিযোগ পুনরায় খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ধারা প্রয়োগ করার পরামর্শ দেন বিচারপতি পাশাপাশি পুলিশকে রিপোর্ট জমা দিতে বলেন। আগামী ১৭ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।পঞ্চায়েত, পুরসভা, বিধানসভা-সহ নানা সরকারি ভবন প্রত্যেক রাজ্যেই আছে। আর তার সঙ্গে আছে একাধিক সরকারি ভবন। এইসব সরকারি ভবনে হামলা চালালে তা সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের সামিল বলে গণ্য হয়। আর সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করলে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে পুলিশকে। এই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।এমনকী রাজনৈতিক দলও যদি সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করে তাহলে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। মালদার পুকুরিয়ায় পঞ্চায়েত অফিস ভাঙচুর করার মামলায় এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।এই নির্দেশ আসার পর সেটা সব ক্ষেত্রেই গণ্য হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল । যে কোনও সরকারি ভবনেই ভাঙচুর চালালে পুলিশ কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে। রাজনৈতিক দল হলেও পার পাবে না। এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, -‘সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করলে যে রাজনৈতিক দলই করুক না কেন তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ করতে হবে’। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কেন সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের ধারা প্রয়োগ করা হবে না? এদিন এই প্রশ্ন তোলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।