সম্মানিত হলেন বর্ধমানের তরুণ সাংবাদিক সুপ্রকাশ চৌধুরী
জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী
কেউ বলে 'চটিচাটা' কেউ বলে 'গোদি মিডিয়া'। পরিস্থিতির চাপে সামান্য ত্রুটিবিচ্যুতি থাকলেও প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদ মাধ্যম যথাযথ ভাবেই তার দায়িত্ব পালন করে চলেছে। সেই স্তম্ভের অন্যতম অতন্দ্র সৈনিক নব প্রজন্মের প্রতিনিধি সুপ্রকাশ চৌধুরীর জন্যেই পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের গুঁইর গ্রামের এক চিলতে খবর ছাপার অক্ষরে ফুটে ওঠে দৈনিক কাগজের পাতায়।
তার কলমে ধরা পড়ে সমাজের প্রতি এক শিক্ষকের দায়িত্ববোধের কাহিনী। তবে এই প্রথম নয় বিভিন্ন সময় সে এই ধরনের কাহিনী তুলে ধরেছে।
পশ্চিমবঙ্গ শিশু অধিকার সুরক্ষা আয়োগ এর পক্ষ থেকে তার এই প্রচেষ্টার স্বীকৃতি স্বরূপ গত ২০ শে নভেম্বর তাকে আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার দিবস উপলক্ষ্যে কলকাতার বিধাননগর এফ ডি পার্কে আয়োজিত আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে 'বেস্ট রিপোর্টিং অন চাইল্ড রাইটস, বেঙ্গলি প্রিন্ট (ফিচার)' হিসাবে সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয়। তখন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী,
শিশু অধিকার সুরক্ষা আয়োগের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায় সহ আরও বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি। ভার্চুয়াল বক্তব্য রাখেন নারী ও শিশু কল্যাণ এবং সমাজ কল্যাণ দপ্তরের
মন্ত্রী শশী পাঁজা।
প্রসঙ্গত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নারী ও শিশু কল্যাণ এবং সমাজ কল্যাণ দপ্তরের অধীনে ২০০৫ সালে শিশু অধিকার সুরক্ষা আয়োগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
বছর দশেক আগে আর পাঁচজন বিখ্যাত সাংবাদিকের মত ছোট পত্রিকার হাত ধরে সংবাদ জগতে পা-রাখেন সুপ্রকাশ। তারপর ধীরে ধীরে নিজের যোগ্যতা ভাল ভাবেই প্রকাশ করে সুপ্রকাশের এই উত্তরণ। গতানুগতিক খবরের ফাঁকে ফাঁকে এই ধরনের ভিন্ন স্বাদের ফিচার লিখে বারবার সে পাঠকের প্রশংসা কুড়িয়ে নিয়েছে এবং প্রথম বারের মত লাভ করল এই সম্মাননা।
অনুজ সুপ্রকাশের সাফল্যে পার্থ চৌধুরী , ঋষিগোপাল মণ্ডল, অরূপ লাহা, অপূর্ব ঘোষ সহ বর্ধমানের সমস্ত অগ্রজ সাংবাদিককুল খুব খুশি। তাদের বক্তব্য - যোগ্য ব্যক্তি সম্মাননা পেয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও পাবে ।
বিশিষ্ট সাংবাদিক পার্থ চৌধুরী বললেন- আমি নিশ্চিত আগামী দিনে সুপ্রকাশের মত যোগ্য ব্যক্তির হাত ধরে বর্ধমানের সংবাদ মাধ্যম অনেক সুনাম পাবে। আগামী দিনের ব্যাটন তার হাতেই থাকবে।
সমস্ত অগ্রজ সাংবাদিকের আশীর্বাদ প্রার্থনা করে সুপ্রকাশ বলল - কতটা যোগ্য আমি জানিনা তবে সম্মাননা পেয়ে সত্যিই খুব ভাল লাগছে। একইসঙ্গে দায়িত্বও বেড়ে গ্যালো। অগ্রজরা আমার উপর যে ভরসা রেখেছে তার মর্যাদা রাখার চেষ্টা করব। তবে আমার সবচেয়ে সুবিধা প্রতি মূহুর্তে তাদের প্রত্যেকের পরামর্শ ও সহযোগিতা পাই এবং আশাকরি আগামী দিনেও পাব।