Spread the love

সন্দীপ ঘোষ  সহ চারজনের ৮ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত

মোল্লা জসিমউদ্দিন

অবশেষে সিবিআই হেফাজতে আরজিকর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ সহ তিনজন। গত সোমবার  গ্রেফতারির পর মঙ্গলবার  আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ সহ সর্বমোট চার জনকে পেশ করা হল আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে। যদিও সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে সিবিআই আধিকারিকরা পৌঁছতেই তুমুল বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় আদালত চত্বরে। সন্দীপ ঘোষকে লক্ষ্য করে চোর, চোর স্লোগান, ধিক ধিক ধিক্কারের মতো স্লোগান দিতে থাকেন আইনজীবীরাই।এমন কি এজলাসের মধ্যেও সন্দীপকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন আইনজীবীরা। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি এমনই দাঁড়ায় যে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী নিয়ে আসার জন্য নির্দেশ দিতে বাধ্য হন সিবিআই এজলাসের বিচারক। এদিন সন্দীপ ঘোষ সহ বাকি অভিযুক্তদের ১৪ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চান সিবিআই-এর আইনজীবী। যদিও দু পক্ষের বক্তব্য শুনে সন্দীপ সহ চারজনের ৮ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।আরজি কর দুর্নীতি কাণ্ডে শেষ পর্যন্ত গত সোমবার সন্ধেবেলায় সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সন্দীপ ছাড়াও গ্রেফতার করা হয় আরও ছাড়াও সুমন হাজরা, বিপ্লব সিনহা এবং আফসর আলি খান নামে তিনজনকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এদের মধ্যে আফসর আলি সন্দীপের প্রাক্তন দেহরক্ষী ছিলেন। সুমন এবং বিপ্লবকে সন্দীপ অধ্যক্ষ থাকাকালীন আরজি কর হাসপাতালে বেআইনি ভাবে ক্যাফে এবং স্টলের বরাত পাইয়ে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।এদিন বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ সন্দীপ ঘোষ সহ তিনজনকে আদালতে পেশ করার জন্য নিয়ে পৌঁছয় সিবিআই। তার আগে থেকে আদালত চত্বরে ভিড় জমাচ্ছিলেন আইনজীবীরা। শেষ পর্যন্ত, বিচারকও সবাইকে শান্ত হওয়ার আর্জি জানান। তাতেও কাজ না হওয়ায় বাড়তি বাহিনী নিয়ে এসে এজলাস ফাঁকা করার জন্য নির্দেশ দেন বিচারক।সন্দীপ ঘোষকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় ‘চোর-চোর’ স্লোগান উঠতে থাকে। আদালত চত্বরেও এই স্লোগান তোলার কারণে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সিবিআই আধিকারিকরা নির্দিষ্ট সময়েই সন্দীপ ঘোষকে আদালতে হাজির করেন।সিবিআই দীর্ঘ ১৬ দিন ধরে জেরা করার পর সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করে। অন্যান্যদের মধ্যে বিপ্লব সিনহা চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহকারী সংস্থার মালিক, সুমন হাজরা ওষুধের দোকানের মালিক এবং আফসার আলি সন্দীপ ঘোষের নিরাপত্তারক্ষী।সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে চিকিৎসা বর্জ্য দুর্নীতি, সরকারি অর্থ নয়ছয় এবং নির্মাণের জন্য আইন ভেঙে ঠিকাদার নিয়োগের অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগের তদন্তে সিবিআই বিভিন্ন সময়ে হাসপাতাল এবং সংশ্লিষ্ট জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *