বৈদূর্য ঘোষাল,
,
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ের চাকরি ইতিমধ্যেই বাতিল ঘোষণা করেছে কলকাতা হাইকোর্ট । যার মামলায় এই নির্দেশ, সেই মামলাকারীকেই এবার দ্রুত নিয়োগের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। তিন দিনের মধ্যে ববিতা সরকার কে নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি । আদালত সুত্রে প্রকাশ, অঙ্কিতা অধিকারী উত্তরবঙ্গের যে স্কুলে চাকরি করতেন, সেখানেই ববিতাকে চাকরির নির্দেশ আদালতের। শুধু তাই নয়,, পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী কে যে প্রাপ্ত বেতন ফেরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেই টাকাও দিতে হবে ববিতা সরকার কে।শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে ছিল স্কুল সার্ভিসের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি। এই শুনানিতেই বিচারপতির নির্দেশ , -‘ কমিশনের সুপারিশে তিন দিনের মধ্যে ববিতা সরকারকে চাকরি দিতে হবে’।।তাছাড়া আদালতের নির্দেশে অঙ্কিতা এতদিন ধরে পাওয়া বেতনের টাকা ফেরত দিচ্ছেন। ১০ দিনের মধ্যে সেই টাকাও ববিতাকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।এই টাকা সামাজিক কাজে লাগাবেন বলে সংবাদ মাধ্যম কে জানিয়েছেন ববিতা।এদিন এজলাসে বিচারপতি রাজ্যের আইনজীবী কে প্রশ্ন করেন, -‘ ববিতাকে কি চাকরি দেওয়া হয়েছে? কতদিন ববিতা অপেক্ষা করবেন’? প্রতুত্তরে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী জানান , -‘;এখনও দেওয়া হয়নি নয়’। এরপরই বিচারপতি দ্রুত চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেন। ,অঙ্কিতার জায়গায় ববিতারই ওই স্কুলে চাকরি হওয়ার কথা ছিল, তাই ৪১ মাস ধরে অঙ্কিতা যে টাকা পেয়েছেন, তা ববিতারই পাওয়ার কথা।এদিন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী এজলাসে জানান, -‘ বোর্ডের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন অঙ্কিতা কোনও ইন্টারভিউ দেননি’। আদালতের নির্দেশে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর মেয়ে অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে আগেই। ৭ লক্ষ ৯৪ হাজারের বেশি টাকা জমাও দিয়ে দিয়েছেন অঙ্কিতা। হাইকোর্টের রেজিস্টার জেনারেলের ওই টকা জমা দিয়েছেন তিনি।২০১৭ সালের নভেম্বরে নিয়োগের দ্বিতীয় তালিকা বেরতেই সবাইকে টপকে একেবারে শীর্ষস্থানে উঠে যান অঙ্কিতা। ফলে আগের তালিকায় ২০ নম্বরে নাম থাকা ববিতা সরকার চলে আসেন ২১ নম্বরে। চাকরি পাননা তিনি।অবশেষে তিনি চাকরি পেলেন।৪১ মাসের বেতনও তিনি পাবেন। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের সামনে দাঁড়িয়ে মামলাকারী ববিতা সরকার সহযোদ্ধা আন্দোলনকারীদের কাছে এক নিদর্শন হিসাবে আত্মপ্রকাশ করলেন তা নিসন্দেহে বলা যায়।