তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের উদ্যোগে বর্ধমানে শিক্ষক দিবস/ মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষাব্যবস্থাকে চোখের মণির মতো রক্ষা করতে চাইছেন: সিদ্দিকুলাহ
জাহির আব্বাস, বর্ধমান:
পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে রবিবার টাউনহলে শিক্ষক দিবস উদযাপন করা হয়। এদিন গত বছর কুড়ি সেপ্টেম্বর থেকে এবছর একুশে আগস্ট পর্যন্ত যেসব শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ অবসর নিয়েছেন এমন একশ কুড়িজন শিক্ষক-শিক্ষিকা কে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, জ্যোৎস্না মান্ডি, বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, সহ-সভাপতি দেবু টুডু, বিধায়ক সেখ শাহ নওয়াজ, অলোক মাঝি, মধুসূদন ভট্টাচার্য,এস বি এস টি সি র চেয়ারম্যান সুভাষ মন্ডল, প্রাক্তন এমপি মমতাজ সংঘমিতা, জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, চেয়ারম্যান অশোক বিশ্বাস, তৃণমূল শিক্ষক সমিতির জেলা সভাপতি তপন দাস( মাধ্যমিক) ও তপন পোড়েল (প্রাথমিক),মাদ্রাসা শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী সমিতির রাজ্য সম্পাদক আলি হোসেন মিদ্যা,জেলা তৃণমূল যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদার, তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস প্রমুখ।
সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে শিক্ষক মহাশয়দের দায়িত্ব এবং কর্তব্যের কথা বিশেষভাবে স্মরণ করান। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে তিনি শিক্ষকদের আরও সক্রিয় হয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবারের বাজেটে সবথেকে বেশি শিক্ষাখাতে বরাদ্দ করেছেন। যার পরিমাণ প্রায় 25 হাজার কোটি টাকা। সুতরাং এ থেকে বোঝা যায় তিনি শিক্ষাব্যবস্থাকে চোখের মণির মতো রক্ষা করতে চাইছেন। তাই মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছাকে পূর্ণ করতে শিক্ষক ছাত্র অভিভাবক মিলে বাংলার শিক্ষাকে উল্লেখযোগ্য ভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তিনি আরো বলেন আপনাদের সুখ দুঃখে আমরা আছি। আপনারা আরও সক্রিয় হন। বর্ধমান জেলাকে রাজ্যের শিক্ষার মানচিত্রে প্রথম সারিতে নিয়ে আসুন। তিনি বাংলার বুকে হিংসার পরিবেশ রুখতে শিক্ষাঙ্গনে সম্প্রীতি চেতনার সেমিনার করতে শিক্ষক মহাশয়দের উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেন। মন্ত্রী স্বপন বাবু বলেন, কোভিড পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের শিক্ষকদের বেতন কাটা হলেও পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষকদের কোনো বেতন কাটা হয়নি। এটা মুখ্যমন্ত্রীর শিক্ষকদের পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছাকেই প্রমাণ করে। তাই, মাস্টারমশাইরাও ব্যক্তিগত উদ্যোগে বর্তমান পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ান। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে সকলকে সজাগ করতে হবে, যাতে অর্থের অভাবে ডাক্তারি,ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া থেকে ছেলেমেয়েরা বঞ্চিত না হয়।তাছাড়া,শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বাড়ির কাছাকাছি আনার সুবিধা দিতে যে উৎসশ্রী প্রকল্প চালু হয়েছে ,সেখানে দেখতে হবে যাতে এই প্রকল্পের অপব্যবহার না হয়। দেবু বাবু জানান ,২০১১ সালের আগে শিক্ষকরা কেমন ছিলেন আর আজকে কেমন আছেন। সে সময় তারা ছিলেন কোনো এক রাজনৈতিক দলের দাসানুদাস। কিন্তু আজকে আর তাদের কোন দলের দাসানুদাস হতে হচ্ছে না। সমাজে তারা মাথা উঁচু করে আছেন। আজ উৎসশ্রীর সুবিধা পেতে কারোর কাছে দরবার জানাতে হয় না। সবাই সরাসরি এর মাধ্যমে সুবিধা পাচ্ছেন। সুতরাং এই সরকার সর্বতোভাবে শিক্ষক ও শিক্ষাব্যবস্থার মানোন্নয়ন যে তৎপর বলার অপেক্ষা রাখে না।তপনবাবু জানান এই মহান শিক্ষাবিদ এর জন্মদিন উপলক্ষে শিক্ষক দিবসে আমরা মাননীয় শিক্ষক শিক্ষিকাদের সম্মান জানাতে পেরে গর্বিত। তিনি আগামী দিনে শিক্ষক সমাজকে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে আরও বেশী করে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।