রাহুল রায় — মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্প নিয়ে সবসময় নিজের উদ্যোগেই বিনা পারিশ্রমিকে নিঃস্বার্থ ভাবে সমাজ সচেতনে এবং পরিবেশকে দূষণ মুক্ত করতে ও সমাজের কুসংস্কার কুপ্রথা দূরীকরণে পথে নামেন বাউল গানে স্বপন দত্ত। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে খাবারের টেবিলে সবসময়ের জন্য থার্মকলের প্লেটে গরম গরম খাবার খেতে দেওয়া দেখে , থারর্মকল বর্জনের ও থারর্মকলে পাতায় খাবার না খাওয়ার জন্য সচেতন করেন অনুরোধ করেন বাউল গানে বোঝান। সবসময় অনুষ্ঠান বাড়ি কে ও ক্যাটারিং মালিকদের থারর্মকলের থালা, প্লেট, গ্লাস বর্জন করতে বলেন বাউল গানের মাধ্যমে আবার প্রতিবাদী বক্তব্যে। কখনো নিজেই খাবারের টেবিলে খেতে বসে সচেতন করেন খাজা আনোয়ার বেড় পূর্ব বর্ধমানের শিল্পী স্বপন দত্ত বাউল। কারণ প্লাস্টিক পলি ব্যাগ থারর্মকলের দূষণ থেকে পরিবেশকে রক্ষা না করলে পরিবেশের বিশাল ক্ষতি । আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন শিল্পী, রাষ্ট্রপতির প্রশংসিত আশীর্বাদ ধন্য শিল্পী, জাতীয় সম্মানিত শিল্পী রাজ্যের একমাত্র নিঃস্বার্থ বিনা পারিশ্রমিকে সমাজ সচেতনের শিল্পী স্বপন দত্ত বাউলের এই প্লাষ্টিক পলি ব্যাগ, থার্মোকলের থালা ,প্লেট , গ্লাস বর্জনের ডাকে সাড়া দিয়ে অনেক অনুষ্ঠানেই খাবারের স্থলে থার্মলকল বর্জন করে শালপাতার থালা , কাসার থালা ব্যাবহার করছেন। এমনি এক অনুষ্ঠানে থারর্মকলের থালা বর্জন করুন বিষাক্ত কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি গরম খাবার মানুষের শরীরে ক্ষতি করবে , রোগ ধরবে থারর্মকল বিষে ভরা খাবারের টেবিলে থার্মোকলের থালা বর্জন করুন এই প্রতিবাদ দেখে ও সচেতনে হয়ে ঐ অনুষ্ঠানের ক্যাটারিং কতৃপক্ষ এবং মালিক পক্ষ তড়িঘড়ি থার্মকল বর্জন করে শালপাতার নিয়ে এলো ভোজন রসিক দের খাবারের টেবিলে। তিনি তার সচেতনের বার্তায় ও কথায় বলেছেন যেমন তেমনি অনেক অনুষ্ঠানেই নিজে শাল পাতা নিয়ে গিয়ে মানুষের মাঝে তাতে খাবার খেয়ে ভোজন রসিকদের সচেতন করেন। অনুষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সামনেই শাল পাতায় খাবার খেতে আরম্ভ করেন ও বার বার সচেতন করে বলেন থারর্মকলের পাতায় কেউ খাবেন না এতে গরম খাবার বিষক্রিয়া হয়ে যায় , রোগ ধরবে, সাস্থের ক্ষতি হবে। রান্নার খাবারের দায়িত্বে যারা আছেন তাদের এ বিষয়ে সচেতন করেন, এই প্রতিবাদের ফলে ঐ অনুষ্ঠানের খাবারের টেবিলে থারর্মকল বাদ দিয়ে এলো শাল পাতার থালা। ঐ অনুষ্ঠানের খাবারের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যাক্তিরা ও কতৃপক্ষ এবং খাবারের মালিক পক্ষ স্বপন বাউলকে জানান। স্বপন বাবু আপনার প্রতিবাদ ও সচেতন মানুষকে অনেক কিছু শিক্ষা দেয়, পরিবেশ কে দূষণ মুক্ত করতে মানুষের ঘুমন্ত মনকে জাগিয়ে তোলে। মানুষের সুস্বাস্থ্য, সুষ্ঠ সমাজ গঠনে দূষণ মুক্ত পরিবেশ রক্ষায় আপনার প্রতিবাদী বাউল গানে ও শিক্ষামূলক সচেতনে আমরাও সচেতন হয়ে থারর্মকল বর্জন করে খাবারের টেবিলে শাল পাতার থালা খাবার খাওয়ানো জন্য নিয়ে এলাম। নিঃস্বার্থ বিনা পারিশ্রমিকে সমাজ সচেতনের শিল্পী স্বপন দত্ত বাউলের এই সচেতন দেখে ও শাল পাতায় খাবার খেতে পেয়ে অনেকই খুশি । এ প্রসঙ্গে স্বপন দত্ত বাউল বলেন যে মানুষের যাতে সাস্থ্য ভালো থাকে কোনো অসুখ না হয় তাদের রক্ষা করতে এই থারর্মকল বর্জনের ডাক , প্রতিবাদ ও সচেতন করাটা আমার একটা সামাজিক দায়িত্ব বলে মনে করি । তাই থর্মকল বর্জনের ডাক দিয়েছি এবং সবসময়ই দেবো । সবচেয়ে বড় কথা যে আমার প্রতিবাদ ও সচেতনের বার্তায় থার্মকলের থালা বর্জন করিয়ে যে এই বড় অনুষ্ঠানে শাল পাতার থালা আনতে পেরেছে । এখানেই আমার অনেকটাই সফলতা আমার নিঃস্বার্থ বিনা পারিশ্রমিকে সমাজ সচেতনের সার্থকতা।।

Leave a Reply