শতবর্ষের আলোকে রামকুমার চট্টোপাধ্যায় – উদযাপনে ‘রবীন্দ্রভারতী সোসাইটি’
পারিজাত মোল্লা,
কলকাতার গিরিশপার্কের জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি পুণ্য প্রাঙ্গণে রবীন্দ্রভাবধারার ধারক ও বাহক রূপে প্রতিষ্ঠিত কলকাতার সুপ্রাচীন ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ‘রবীন্দ্র ভারতী সোসাইটি’ ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত জগত ও বাংলার পুরাতনী গান, টপ্পা গানের বিদগ্ধ পণ্ডিত, গায়ক রামকুমার চট্টোপাধ্যায় এর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করলো গত বুধবার।গত ২২শে সেপ্টেম্বর তারিখে আন্তর্জালিক মাধ্যমে একটি সান্ধ্যবৈঠকের আয়োজন করে। রবীন্দ্র ভারতী সোসাইটির ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর পালনের অঙ্গ হিসাবে গত এক বছর ধরে প্রতি বুধবার একটি করে সান্ধ্যবৈঠকের আকারে নানা বিষয়ে, নানা ভাবনার অভিনবত্বে এই ধরণের অনুষ্ঠান চালিয়ে আসছে – ধারাবাহিকত্বের বিচারে যা সচরাচর দেখা যায় না। বাংলা তথা ভারতীয় সঙ্গীত জগতে গায়ক পণ্ডিত রামকুমার চট্টোপাধ্যায় এর অসামান্য, অতুলনীয় অবদান স্মরণ করে বক্তব্য রাখেন বাংলার বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও অধ্যাত্মবাদে ঋদ্ধ সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়। প্রখ্যাত তবলিয়া পণ্ডিত কুমার বোস ও স্বনামধন্য সঙ্গীতশিল্পী হৈমন্তী শুক্লা তাঁদের শিল্পীজীবনের টুকরো টুকরো নানা ঘটনার উল্লেখ করে রামকুমার চট্টোপাধ্যায় এর সাথে তাঁদের স্মৃতিসুখকর অভিজ্ঞতার কথা বলেন। অনুষ্ঠানের কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন সুযোগ্য পুত্র খ্যাতিমান সঙ্গীতশিল্পী শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায় ও রামকুমার চট্টোপাধ্যায় এর স্নেহধন্যা শিষ্যা রাজ্যশ্রী ঘোষ। বাংলার পুরাতনী গান, বৈঠকি গান, আগমনী গান, ভক্তিগীতি, ভজন এবং স্বকীয় রীতিতে টপ্পা গানের স্রষ্টা রামকুমার চট্টোপাধ্যায় এর সঙ্গীতজীবন নিয়ে ঘটনাবহুল নানা তথ্য উন্মোচিত হল তাদের আলোচনার মাধ্যমে। ছোট ছোট গীত, ভজন ইত্যাদি গেয়ে রাজ্যশ্রী ঘোষ সুরের মায়াজালে সকলকে আবিষ্ট করে রাখেন। বেশ কিছু শাস্ত্রীয় সঙ্গীত গেয়ে শোনান শিল্পী শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানের শুরুতে রামকুমার চট্টোপাধ্যায় এর সাথে ‘রবীন্দ্র ভারতী সোসাইটি’র যোগসূত্র এবং সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায় -” সঞ্চালনার দায়িত্ব ও পালন করেন। প্রযুক্তিগত এবং কারিগরি সহায়তা প্রদান করেন সদস্য হিমাদ্রি মুখোপাধ্যায়”। অন্তিমপর্বে উপস্থিত সকলকে সোসাইটির তরফে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সোসাইটির সহ-সম্পাদক ডাঃ অভিজিত ঘোষ মহাশয়।