নিজস্ব প্রতিনিধি,
টানা ছাপান্ন দিন পর কয়লা মাফিয়া অনুপ মাঝী ওরফে লালার চার সহযোগী জয়দেব, নীরদবরণ, নারায়ণ ও গুরুপদকে শর্তসাপেক্ষে জামিনে মুক্তি দিল আসানসোলের সিবিআই আদালত। কয়লা চোরাচালান বা পাচার মামলায় অনুপ মাজি ওরফে লালার চার সহযোগী জয়দেব মণ্ডল, নীরদবরন মণ্ডল, গুরুপদ মাজি ও নারায়ণ নন্দা অবশেষে জামিন পেলেন।মঙ্গলবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী শর্তসাপেক্ষে এই চারজনকে জামিনে মুক্ত দিলেন। জামিনের শর্ত অনুযায়ী, লালার এই চার সহযোগীর বিদেশ যাত্রার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। পাশাপাশি পশ্চিম বর্ধমান জেলাতেও তাঁরা প্রবেশ করতে পারবে না বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে।গত ২৮ সেপ্টেম্বর কয়লা মামলায় সিবিআই গ্রেফতার করে এই চারজনকে। এঁরা সবাই লালার সহযোগী বলে পরিচিত সিবিআইয়ের আইনজীবী বিচারকের কাছে দাবি করছিলেন যে, বেআইনি কয়লা কারবার থেকে লালার ১৩৭৪ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। এইসব কিছুর সঙ্গে এই চারজন সহযোগী জড়িত রয়েছেন। এছাড়াও এঁদের ডেকে বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও, তাঁরা বহু তথ্য লুকিয়ে রাখছেন এবং প্রশ্ন এড়িয়েছেন বলে অভিযোগ। তাই তদন্তের স্বার্থে তাঁদের সিবিআই নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় বলে আদালতে জানিয়েছিলেন মামলাকারীর পক্ষে আইনজীবী। অবশেষে ৫৬ দিন পর তাঁরা জামিনে মুক্তি পেলেন।প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর অনুপ মাজি এবং দুই জিএম এবং ইসিএলের তিন নিরাপত্তা আধিকারিকের বিরুদ্ধে অবৈধ খনন, চুরি এবং কয়লার চোরাচালানের অভিযোগে মামলা দায়ের করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা পরে এই মামলায় সারাদেশে প্রায় ৩০ টি জায়গায় তল্লাশি চালায়। ইতিমধ্যে, লালার ১৭৫.৫৬ কোটি টাকার সম্পত্তি অ্যাটাচমেন্ট করেছে সিবিআই।এদিকে লালার চার সহযোগী জয়দেব মণ্ডল, নীরদবরন মণ্ডল, গুরুপদ মাজি ও নারায়ণ নন্দা- এই চারজনকে কলকাতার নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার অফিসাররা বেশ কয়েক দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। কিন্তু সেপ্টেম্বর মাসের শেষে তাঁদের আবার জেরার জন্য সিবিআই ডেকে পাঠায়। তখন তাঁরা তদন্তে সহযোগিতা করেননি বলে অভিযোগ। বরং, তাঁরা বিভিন্ন ধরনের তথ্য গোপন করছে, এই অভিযোগে সিবিআই তাঁদের গ্রেফতার করে।