লখিমপুর কান্ডে ১৮ অক্টোবর রেল অবরোধের ডাক কৃষক সংগঠনের
সেখ নিজাম আলম ,
লখিমপুর খেরির হিংসা কান্ডে আগামী ১৮ অক্টোবর রেল অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করলো কেন্দ্রের তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া প্রায় ৪০টি কৃষক সংগঠনের জোট সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার । গত রবিবার কৃষকদের উপর বিজেপির পতাকা লাগানো গাড়ি চালিয়ে কয়েকজন কে পিষে মারার প্রতিবাদে তাদের এই কর্মসূচি, জানিয়েছেন মোর্চা নেতা তথা সমাজকর্মী যোগেন্দ্র যাদব।আগামী ১৫ অক্টোবর দশেরার দিন কৃষকরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কুশপুতুল পোড়াবে বলেও জানিয়েছে কৃষক সংগঠন টি।। উত্তরপ্রদেশ সহ কয়েকটি রাজ্যে সামনের বছর বিধানসভা ভোটের মুখে লখিমপুর খেরির ঘটনায় উত্তপ্ত জাতীয় রাজনীতি। গত ৩ অক্টোবর কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভরত চাষিদের ওপর দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রের এসইউভি চলে যায়। পিষে মারা যান চার চাষি। পাল্টা হামলায় দুটি এসইউভি জ্বালিয়ে দেয়, ঘাতক এসইউভির চালক সহ কয়েকজনকে পিটিয়ে মারে কৃষকরা। বিজেপি-কৃষক সংঘর্ষ হয়। নিহতদের মধ্যে বিজেপি কর্মীরাও আছেন। কৃষকদের দাবি, তাঁরা উপ মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্যের সফরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর গাড়ি তাদের ধাক্কা মারে। একটি গাড়িতে ছিলেন মন্ত্রীর ছেলে আশিস মিশ্র। যদিও মন্ত্রী, তাঁর ছেলের দাবি, ঘটনাস্থলেই ছিলেন না তাঁরা। দাবি উঠেছে, মন্ত্রীকে বরখাস্ত, তাঁর ছেলেকে গ্রেফতার করতে হবে। গত শুক্রবারই সুপ্রিম কোর্ট উত্তরপ্রদেশ সরকারকে তিরস্কার করে বলছে, -‘তারা খুশি নয়। অভিযুক্তদের কেন এফআইআর দায়ের হওয়ার পরও গ্রেফতার করা হয়নি’, প্রশ্ন তুলে সর্বোচ্চ আদালতের বেঞ্চ বলেছে,-‘ কী বার্তা দিচ্ছেন আপনারা! দেশের অন্যান্য খুনের মামলাতেও কি অভিযুক্তদের একই চোখে দেখা হয়? ‘ এদিকে এর মধ্যেই গত রবিবার পাল্টা বিজেপি কর্মীদের হত্যায় জড়িতরা অপরাধী নন বলে দাবি করেছেন ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন নেতা রাকেশ টিকায়েত। তাঁর যুক্তি, প্রতিবাদীদের ওপর এসইউভি চালিয়ে দেওয়ার পাল্টা প্রতিক্রিয়া ওটা। তাঁকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই বলেছে, লখিমপুর খেরিতে চার কৃষকদের গাড়ির কনভয়ের তলায় পিষে মারার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় খুন করা হয়েছে বিজেপি কর্মীদের। এক্ষেত্রে হত্যায় জড়িতদের অপরাধী ভাবি না আমি। টিকায়তের দাবি, লখিমপুর খেরি হিংসা মামলায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, তাঁর ছেলেকে গ্রেফতার করা উচিত। ঘটনাটা আগে থেকে চক্রান্ত করে ঘটানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রই এই ষড়যন্ত্রের সূচনা করেন। মামলায় অপরাধীদের আড়াল করছেন তিনি।আগামী ১৮ অক্টোবর রেল অবরোধ ঘিরে রাজনৈতিক মহলে তরজা বাড়ছে।