সাধন মন্ডল,
চরম অব্যবস্থায় চলছে রাইপুর গ্রামীন হাসপাতাল বলে অভিযোগ রোগীর পরিবার ও স্থানীয়দের। দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জলের ব্যবস্থা বেহাল। রোগীর পরিবার অনেকটা দূর থেকে পানীয় জল নিয়ে আসেন, বিদ্যুৎ চলে গেলে হাসপাতালের রোগীদের চরম অস্বস্তির মধ্যে কাটাতে হয় ঘোরে না পাখা জ্বলে না লাইট। আজ 30 এপ্রিল বিকেল পাঁচটা থেকেই কালবৈশাখী শুরু হওয়ায় বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ থাকায় চরম অস্বস্তিতে পড়ে রোগী ও রোগীর পরিবার। কিন্তু হাসপাতালে জেনারেটর থাকলেও অজানা কারণে তা চালু করা হয়নি ফলে দুর্ভোগ বাড়তে থাকে স্থানীয় নেতৃত্ব ও এলাকাবাসী হাসপাতালে পৌঁছালে চরম বাকবিতণ্ডা তৈরি হয় ।এরমধ্যে রাইপুর সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক রঞ্জন সরদার ও বিশিষ্ট সমাজসেবী পরিমল মাহাতো গুরুপদ রজক ,পিন্টু মাহাতরা হাজির হন অবশেষে বিডিওর হস্তক্ষেপে আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে জেনারেটর চালু করা হয় স্বস্তি ফিরে আসে হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগী ও রোগীর পরিবার, ডাক্তার নার্স সহ সকলের মধ্যে। হাসপাতালে বাতি জ্বললেও খাবার ঘরে যেখানে রান্না করা হয় সেই রাস্তায় বাতি না থাকায় চরম আতঙ্কে খাবার ঘর থেকে হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের জন্যখাবার নিয়ে আসেন ভর্তি থাকা রোগীদের পরিবার ।পিন্টু মাহাত অভিযোগ করে বলেন হাসপাতলে একটি অরাজকতা চলছে অবিলম্বে এই অরাজকতা বন্ধ না হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে। হাসপাতালে বি এম ও এইচ ডাঃ সৌরভ সাহা কে সারা মাসের মধ্যে 2-3 ছাড়া দেখতে পাওয়া যায় না তিনি বাইরে চেম্বার করেন বলে অভিযোগ। উল্লেখ্য হাসপাতলে গিয়ে স্বাস্থ্য আধিকারিক কে পাওয়া যায়নি এ ব্যাপারে বিডিওকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন বি এম ও এইচ আজ হাসপাতালে নেই বাইরে গেছেন বিষয়টি খতিয়ে দেখছি,আপাতত অন্ধকার মুক্ত হয়েছে হাসপাতাল চত্বর ।তবে খাবারের ঘরের দিকটা যাতে আলো দেওয়া হয় তা খতিয়ে দেখা হবে ।আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই হাসপাতালে সমস্ত রকম সমস্যার সুরাহা করার চেষ্টা করা হবে বলেও তিনি জানান।