যুগ্ম আহ্বায়ক ঘোষিত হতেই ফের খয়রাশোল ব্লক তৃনমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের চিত্র প্রকাশ্যে
সেখ রিয়াজুদ্দিন বীরভূম:- খয়রাশোল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরম থেকে চরমতম পর্যায়ে পৌঁছেছিল পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে। যদিও ইতিপূর্বে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেরে তৃনমূল কংগ্রেসের তিন ব্লক সভাপতিকে খুন হতে হয়। সম্প্রতি ব্লক সভাপতি থাকাকালীন কাঞ্চন অধিকারীর বিপক্ষে দল তৈরী হয় এবং প্রকাশ্যে তার বিরোধিতা শুরু হয়।এমনকি সভা করতে গিয়ে দলীয় কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হয়ে জখম হয়ে পড়েন ব্লক তৃণমূল সভাপতি কাঞ্চন অধিকারী।উল্লেখ্য খয়রাশোল ব্লকের দলীয় পর্যবেক্ষক বনাম ব্লক সভাপতির দ্বন্দ্ব নিয়ে মূলত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে খয়রাশোল ব্লক তৃনমূল কংগ্রেসের মধ্যে।
সেই জেরে দলীয় কর্মসূচি পৃথক পৃথক ভাবে পালনের চিত্র প্রকট হয়ে ওঠে।বিজয়াদশমীর অনুষ্ঠান ঘিরে ফের সংঘাত সামনে আসে,যা নিয়ে অনুষ্ঠান শেষ পর্যন্ত বাতিল করা হয়।পরবর্তীতে উভয়পক্ষের লোকজন নিয়ে সিউড়ি তৃনমূল দলীয় কার্যালয়ে জেলা নেতৃত্ব আলোচনা করে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে বিজয়াদশমীর অনুষ্ঠান করার দায়িত্ব দেন।পরবর্তীতে রাজ্যের বিভিন্ন ব্লক কমিটি গঠনের সময় খয়রাশোল ব্লকে কাঞ্চন অধিকারী, মৃণালকান্তি ঘোষ,কাঞ্চন দে, উজ্জ্বল হক কাদেরী ও শ্যামল গায়েন এই পাঁচজনের নাম মনোনীত হয়ে আসে তৃনমূল ব্লক কমিটি হিসেবে। আজ শুক্রবার
বীরভূম জেলা তৃনমূল কোর কমিটির ৫ সদস্যের মধ্যে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী ও সুদীপ্ত ঘোষের উপস্থিতিতে খয়রাশোল ব্লক দলীয় কার্যালয়ে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই ব্লক তৃণমূলের পাঁচজন সদস্যের মধ্যে মৃণাল কান্তি ঘোষ ও শ্যামল গায়েন কে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ব্লক সাংগঠনিক পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে কাঞ্চন অধিকারী ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন এবং কোর কমিটি থেকেও পদত্যাগ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। সরাসরি শ্যামল গায়েনের বিভিন্ন দূর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন।যা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে বলে মত ব্যাক্ত করেন।এনিয়ে ব্যাক্তিগত ভাবে শুরু হয়েছে কুৎসা প্রচারের ছড়াছড়ি।অন্যদিকে ফেসবুকেও শুরু হয়েছে দলীয় কোন্দলের কাদা ছোড়াছুড়ি। আগামী লোকসভায় তৃণমূলের ফলাফল কি হয় সেই নিয়ে গুঞ্জন এলাকা জুড়ে।বিশেষ উল্লেখযোগ্য যে, জেলার ১১ টি বিধানসভা আসনের মধ্যে খয়রাশোল ব্লক যুক্ত দুবরাজপুর বিধানসভা আসনটি বিজেপি নিজেদের দখলে নিয়ে আসে।