মৎস্য শিল্পে নন্দীগ্রামের দুই অন্যন্য কর্ম সন্ধানীদের কাছে বিশ্বকর্মার মতো !
মৎস্য উদ্যোগ এখন এক গ্রামীন শিল্পে পরিনত হয়েছে। মৎস্য শিল্প বলতে মাছ ধরা, মৎস্যচাষ, মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ, পরিবহন এবং মাছ ও মৎস্য পণ্য বিক্রি করার সাথে সম্পর্কিত সকল কার্যক্রমকে বোঝায়। এটি একটি প্রাচীন এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক শিল্প খাত যা প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে এবং মানুষের জীবন ও অর্থনীতির জন্য অপরিহার্য ।
নন্দীগ্রামে মাছ আহরন ও চাষে দুই অন্যন্য নৌকা মৎস্যজীবী প্রহল্লাদ পাত্র ও বিধবা মহিলা মাছ চাষি অপর্না পাত্র।
এ যেন এক বিশ্বকর্মা একদিকে যেমন নৌকো সহ আধুনিক সরঞ্জাম প্রযুক্তিগত কাজ যার মধ্যে মাছের জাল তৈরি ও মেরামত এবং বাজার সংযোগের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ।
নন্দীগ্রামের ভাঙ্গাবেড়ার প্রহল্লাদ পাত্র স্থানীয় ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস টেন অবদি পড়ান । সাথে নৌকা নিয়ে যান মাছ ধরতে। দুটি নোকো করেছেন। ইলিশের সময় তালপাটি খাল ধরে চলে যান মাঝ গঙ্গায় মাছ ধরতে। মরশুমে ১০-১২জন কে কাজ দিয়েছেন মাছ ধরার কাজে। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে এসে মৎস্যজীবী নিবন্ধকরন প্রকল্পে নাম নথীভুক্তও করেছেন। স্থানীয় শিক্ষক মৎস্যজীবি প্রহল্লাদ পাত্রের মতো নৌকা লাইসেন্স রেজিস্ট্রেশান করে সরকারি নিয়মের মেনে চলছেন ।
অপর্না পাত্র বিধবা প্রান্তিক মহিলা স্বমন্বিত মাছ চাষ মানে মাছ চাষ ও ছাগল পালন করে সংসারের হাল ফিরিয়েছেন। ছেলেদের সুশিক্ষিত করে বড় করেছেন। একজন মহিলা হয়েও অপর্না দেবী নিজে হাতে মাছের খাবার দেন পুকুর পরিচর্যা করেন ও মাছ ধরেন।
নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লকের মৎস্য চাষ সম্প্রসারন আধিকারিক সুমন কুমার সাহু জানান, “আমার পাড়া আমার সমাধান ক্যাম্পের সাথে চলা দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে এসে ওনারা মৎস্যজীবী নিবন্ধকরন করেছেন। ওনাদের এই উৎসাহ অন্যন্যদের আরো বেশি করে উদবুদ্ধ করবে“।