Spread the love

অনলাইনে শিক্ষা কেন্দ্রের বিবেক স্মরণ ও অষ্টম সমাবর্তন উৎসব

সেখ সামসুদ্দিন, ১৩ জানুয়ারিঃ প্রতি বছরের মতো এই বছরেও মেমারি স্বপ্নসন্ধানী শিক্ষা ও সংস্কৃতি কেন্দ্র অষ্টম সমাবর্তন উৎসব স্বামী বিবেকানন্দকে শ্রদ্ধা জানিয়ে শুরু হয়। এই বছর কোভিড পরিস্থিতিতে চারদিনের বদলে ১২-১৩ জানুয়ারি দুই দিনেই অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয় অনলাইন মাধ্যমে। সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর রামকৃষ্ণ কুন্ডু জানান, কমবেশি ১০০ জন সফলদের বিভিন্নভাবে পুরস্কৃত করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন সমাজের বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সহ ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকবৃন্দ। অনলাইনে ১২ জানুয়ারি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে বহু অংশের মানুষ অংশগ্রহণ করেন ও আলোচনায় থাকেন সাংবাদিক এবং শিক্ষাবিদগণ। অনুষ্ঠানের সূচনা করেন সংস্থার সভাপতি চিত্তরঞ্জন কুন্ডু। অনলাইন অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা জানান টিভি সিরিয়িলের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অন্বেষা হাজরা, শিক্ষাবিদ ও বিজ্ঞানী চন্দ্র নারায়ন বৈরাগ্য, ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সম্পাদক রামকৃষ্ণ হাজরা। বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সঞ্জয় সামন্ত , শিক্ষক সুভাষ মিস্ত্রি, শিক্ষক হিরালাল মন্ডল, শিক্ষক সুব্রত মুখার্জী, সাংস্কৃতিক বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সংগীতশিল্পী অরিজিৎ চক্রবর্তী এবং বিশিষ্ট বেতার ও দূরদর্শন সংগীত শিল্পী তপন মুখার্জী শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও সাংবাদিক পার্থ সখা অধিকারী, সাংবাদিক বিধান চন্দ্র, সাংবাদিক সেখ সামসুদ্দিন, এনারাও শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। রামকৃষ্ণ কুন্ডু অতিথি এবং অংশগ্রহণকারী ও পুরস্কার প্রাপক সকলকেই মেমারি স্বপ্নসন্ধানী শিক্ষা ও সংস্কৃতি কেন্দ্র পরিবারের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানান। এই গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ দিনে সাথে থাকা সকল শুভাকাঙ্ক্ষীদের শুভেচ্ছা জানান রামকৃষ্ণবাবু। আরো জানান বর্তমান সময়ে গোটা বিশ্বজুড়ে শিক্ষা ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে একটি বাধার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। তবে এই বাধার প্রাচীর ভেঙে শীঘ্রই নতুন আলো আসতে চলেছে যা একটি নতুন ব্যবস্থার জন্ম দেবে। প্রসঙ্গত রামকৃষ্ণবাবু মেমারি স্বপ্নসন্ধানী শিক্ষা ও সংস্কৃতি কেন্দ্র সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক হলেও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অভিনয় নির্দেশনার পাশাপাশি কিছু ক্ষেত্রে লেখালিখিও করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *