Spread the love

সেখ সামসুদ্দিন, ১৭ জানুয়ারিঃ গত ১২ জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিবসে মেমারি বিধানসভার বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য‍্য হাসপাতাল পরিদর্শনে যান। মেমারি হাসপাতালে রোগীর আত্মীয় স্বজনদের জন‍্য থাকা প্রতীক্ষালয়ে যারা রাত্রি যাপনের জন‍্য ছিলেন তাদের সঙ্গে কথা বলে অসুবিধার কথা শোনেন। তিনি চাক্ষুষ করেন প্রতীক্ষালয়টির মাথায় শেড থাকলেও চারিদিক খোলা। তিনি অনুভব করেন চারদিক খোলা থাকায় শীতের দিনে রোগীর পরিবারের সদস‍্যদের কষ্টের কথা। তিনি ঐখানে দাঁড়িয়ে সিদ্ধান্ত নেন শীত ও বর্ষায় রোগীর পরিজনদের কষ্ট লাঘবে অস্থায়ীভাবে সেটি ঘিরে দেবার কথা বলেছিলেন। ত‍ৎক্ষণাৎ ব্লক স্বাস্থ‍্য আধিকারিক ডাঃ হর্ষ ঘোষের সঙ্গে কথা বলে জানান ত্রিপল দিয়ে দেবেন, জায়গাটি ঘিরে দিতে হবে। মাত্র পাঁচদিনের মাথায় আজ ১৭ জানুয়ারি বিধায়ক দেয়া কথা অনুযায়ী কাজ করলেন। তিনি জানান হাসপাতালে মাঝে মধ‍্যেই ভিজিট করবেন। রোগী বা পরিজনদের টয়লেট পরিষেবাতেও সন্তুষ্ট নন। তিনি বলেন রাতারাতি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে উন্নীত করতে না পারলেও স্বাস্থ‍্য দপ্তর ও মুখ‍্যমন্ত্রীর কাছে সাক্ষাৎ করে হাসপাতালের বেড সংখ‍্যা বৃদ্ধি সহ বিভিন্ন আধুনিক পরিষেবা চালু করতে সচেষ্ট। উল্লেখ্য বাম জমানার অবসান ঘটিয়ে মেমারি বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক অধ‍্যাপক ডঃ আবুল হাসেম মন্ডল মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্যকে নিয়ে এসে ঘোষণা করেছিলেন। তারপরের বিধায়ক নার্গিস বেগমও সচেষ্ট হয়েছিলেন কিন্তু স্টেট জেনারেল হাসপাতালের কাজ এগোয়নি। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য উদ‍্যোগী হন হাসপাতাল, রেলওয়ে ওভারব্রীজ ও বাইপাস রোড সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজে উদ‍‍্যোগী হয়েছেন। হতাশ মানুষ আশায় বাঁচে। তারা আশা করছেন পরপর দুই বিধায়ক সচেষ্ট হয়েও কিছু করতে পারেনি। এখন মেমারীবাসী আশায় বুক বাঁধছে এবার হয়তো উদ‍্যোগী বিধায়ক কিছু অন্তত করবেন। বিশেষ করে মানুষের সঙ্গে যেভাবে জনসংযোগ রেখে চলেছেন, কথা বলতে গেলে কাউকে হতাশ করেন না, সকলকেই প্রাধান্য দিয়ে কথা শোনেন ও সমস‍্যা মেটাতে সচেষ্ট হন। এরকম বিধায়ককে পেয়ে হাসপাতালের কর্মী, রোগী ও সাধারণ মানুষ সকলেই আপ্লুত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *