Spread the love

সেখ সামসুদ্দিন, ১৬ মার্চঃ মেমারি পৌর শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পারিজাত নগরের বাসিন্দা অশোক শীলের পুত্র শুভজিৎ সিল (২৮) এর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা। স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায় শুভজিৎ-এর সঙ্গে মেমারি উদয় পল্লী দক্ষিণপাড়ার সুনীল কীর্তনীয়া পরিবারের মেয়ের প্রায় বছর ছয়েক ধরে ভালোবাসা ছিল যা সুনীল কীর্তনীয়ার পরিবার মেনে নিতে পারেননি। এ বিষয়ে তাদের উভয় পরিবারে বারে বারে কথা বলার চেষ্টা হয় কিন্তু তারা কোনভাবেই ছেলেকে মেনে নিতে রাজি হয়নি। ঘটনা প্রসঙ্গে অশোক শীলের পরিবার ও প্রতিবেশীরা জানান ছেলেটি একটি প্রাইভেটকার কিনে মেদিনীপুরে খাটছিল। তাকে ডেকে নিয়ে এসে রাত্রি দুটোর সময় মেয়ের বাড়িতে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করেন। তারা আরো বলেন রাত দুটোর সময় ছেলের বাড়িতে খবর দেয় তোমাদের ছেলে অসুস্থ তাড়াতাড়ি এসে হাসপাতালে নিয়ে যাও। গিয়ে দেখে ছেলের দড়ি দিয়ে হাত বাধাঁ অবস্থায় পড়ে আছে। মেয়ে পক্ষ দাবি করে একটি গাছে গলায় দড়ি দিয়েছিল তারা তাকে নামিয়েছে। মৃতের পরিবারের দাবি সে যদি গলায় দড়ি দিয়েছিল তারা নামালো কেন? তারা আমাদের জন্য অপেক্ষা না করে পুলিশকে না ডেকে নিজেরাই কেন নামালো? তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে হাত বাঁধা অবস্থায় আমরা গিয়ে দেখতে পেয়েছি এই অবস্থায় কখনো সে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে মেরে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় দুই পাড়ায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং সুশীল কীর্তনীয়ার বাড়ি ভাঙচুর হয়। সেই সময় পুলিশ পৌঁছে দুজনকে গ্রেপ্তার করলে তার ফলে পারিজাতনগর পাড়াতে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং কিছু সময়ের জন্য মেমারি তারকেশ্বর রোড অবরোধ করা হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন এসডিপিও দক্ষিণ, সিআই ও মেমারি থানার ওসির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী। খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই তারা রোড অবরোধ সরিয়ে দেয়। পাবলিকের দাবি অনুযায়ী ছেলে দুটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন তিন নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনসুরা বেগম, তারপর একে একে এসে পৌঁছান ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সেখ ইউসুফ, ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কৃষ্ণপদ বিশ্বাস, মেমারি পুরসভার ভাইস-চেয়ারম্যান সুপ্রিয় সামন্ত এবং চেয়ারম্যান স্বপন বিষয়ী। তারা উত্তেজিত জনতাকে দোষীদের ছাড়া হবে না, তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন এবং এলাকার মানুষকে শান্ত করেন তারপরেই পোস্টমর্টেম করে দেহ এসে পৌঁছালে তাদের উপস্থিতিতে এলাকার মানুষজনকে দেহ দেখানোর পরে গাড়ীতে তুলে সৎকারের জন্য বার করে দেওয়ার পদক্ষেপ নেয়া হয়। কিন্তু আবার দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবিতে দেহ আটকে রেখে রাস্তায় বসে পড়ে। এসডিপিও পুনরায় এসে দোষীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করে অবরোধ তোলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *