Spread the love

মেট্রো ডেয়ারি মামলায় পি চিদম্বরাম কে ‘মমতার দালাল’ বললেন অধীরের আইনজীবী 

সাধন মন্ডল
বুধবার বেনজির ঘটনা ঘটলো কলকাতা হাইকোর্টে।দলীয়  নেতার  দাখিল করা মামলার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে সওয়াল করতে এসে তাড়া খেলেন সর্বভারতীয় কংগ্রেস নেতা ও  প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী পি চিদম্বরম। এদিন দুপুরে এক মহিলা আইনজীবী চিদম্বরাম কে  ‘তৃণমূলের দালাল’ বলে তাঁরই সামনে  বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এমনকি ওই মহিলা আইনজীবী নিজের কোট খুলে তেড়েও যান প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর দিকে। বেশকয়েকজন আইনজীবী ছিলেন এই বিক্ষোভ প্রদর্শনে।জানা গেছে ,বিক্ষুব্ধ  আইনজীবীরা জাতীয় কংগ্রেস সমর্থিত ।আদালত সুত্রে প্রকাশ, মেট্রো ডেয়ারি মামলায় কেভেন্টার্স নামে একটি সংস্থার হয়ে মামলা লড়তে কলকাতায় এসেছিলেন পি চিদম্বরাম। এই মামলাটি করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি  তথা সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। পি চিদম্বরম মামলাটির অভিযুক্তদের  হয়ে সওয়াল করতে এসেছিলেন । কংগ্রেস সাংসদ  অধীর রঞ্জন চৌধুরী  মামলাটি করেছিলেন রাজ্যের সংস্থা মেট্রো ডেয়ারির বিরুদ্ধে। কেন  জলের দরে কেভেন্টার্সের কাছে মেট্রো ডেয়ারী বিক্রি করে, সেই প্রশ্ন তোলে  । মামলাকারী অধীরের দাবি – এই লেনদেনে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে। এদিন  এই মামলাতেই কলকাতা হাইকোর্টে  সওয়াল করার কথা ছিল পি চিদম্বরমের। তবে  তার আগেই পি চিদম্বরাম লে  ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কংগ্রেস প্রভাবিত  আইনজীবীরা। মামলাকারী অধীরের আইনজীবী এদিন পি  চিদম্বরমকে ‘মমতার দালাল’ বলে  থাকেন। এদিন ওই আইনজীবী পি চিদম্বরাম কে প্রশ্ন করেন -‘ প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী নিজের দলের নেতার বিরুদ্ধে মামলা লড়তে এসেছেন কেন! তিনি কি জানেন না এই মামলায় বহু অর্থের নয়ছয় হয়েছে এবং তার  অন্তরালে  রয়েছে রাজ্য সরকার!’ তারপরেই পি চিদম্বরম কে মমতার দালাল বলেন ওই আইনজীবী। তবে এদিন পি  চিদম্বরমের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের  আইনজীবীদের এই বিক্ষোভ যখন  চরমে পৌঁছয় তখন  এক মহিলা আইনজীবী প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রীকে দেখে তেড়ে যান। সুমিত্রা নিয়োগী নামে ওই মহিলা আইনজীবী প্রথমে চিদম্বরমের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। পরে উত্তেজিত হয়ে নিজের গায়ের কোট খুলে নিয়ে তেড়ে যান তাঁর দিকে। যা নিয়ে হইচই পড়ে যায় কলকাতা হাইকোর্টে।কলকাতা পুলিশ সুত্রে প্রকাশ,  আরও পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হবে হাইকোর্টের ভেতর ও বাইরে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *