মোল্লা জসিমউদ্দিন ,
বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান থেকে এখনই সরানো হচ্ছে না কেন্দ্রীয়বাহিনী। এদিন এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট এর ডিভিশন বেঞ্চ ।এর পাশাপাশি এলাকার পরিস্থিতি কেমন রয়েছে? তা খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন করেছে রাজ্যের উচ্চ আদালত।ভারী বুটের শব্দ এখনও শোনা যাচ্ছে ধুলিয়ানের অলিতে গলিতে।জানা গিয়েছে, সেই কমিটিতে রয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার ও রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের দুই প্রতিনিধি এবং রাজ্য লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটির এক সদস্য।বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্যের তরফেও কোনও আপত্তি জানানো হয়নি।এদিন আদালত পরামর্শ দিয়েছে, -‘যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে’। পরীক্ষা রয়েছে, ফলে স্কুল যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকেও নজর দেওয়ার কথা বলেছে আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ আরও বলেছে, কোনও উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখা যাবে না।এদিন রাজ্যের তরফে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যারা ঘরছাড়া আছে, তাদের লিস্ট দেওয়া হোক। আমি দায়িত্ব নিয়ে তাদের বাড়ি ফেরাব। প্রায় ৪০ শতাংশ দোকান খুলে গিয়েছে। সবজি বাজার খোলা আছে।” তাঁর অভিযোগ,-‘ উত্তরপ্রদেশের ছবি কলকাতার বলে আপলোড করা হয়েছে’। মুর্শিদাবাদে আর নতুন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলেও জানিয়েছেন তিনি।মামলাকারীদের আইনজীবী জানিয়েছেন, -‘৯০টি পরিবারের মধ্যে মাত্র ৬ জন ফিরে গিয়েছে তাদের বাড়িতে’। বিচারপতি সৌমেন সেন বলেন, ‘কোন স্কিম নিয়েছেন, ঘরছাড়াদের পুনরুদ্ধার করার জন্য?’ বিচারপতি আরও বলেন, একটা কমিটি গড়ে দেওয়া যায়। আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল ঘরে ফিরিয়ে দেওয়া। রাজ্যের উচ্চ আদালত জানিয়েছে -‘পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত বাহিনী মোতায়েন থাকবে ‘।