মাকে শ্রদ্ধা জানাতে কাঙ্গাল ভোজন
দীপঙ্কর চক্রবর্ত্তী,
মঙ্গলবার ছিল মায়ের প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী।ঠিক একবছর আগে পূর্নিমা হালদার শারিরীক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।সেখান থেকে কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গিয়ে সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন পূর্নিমা।বাড়ীতে ২২ বছরের এক মাত্র ছেলে সুপ্রতীম হালদার ও স্বামী প্রাথমিক শিক্ষক সুজিৎ হালদার।এই করোনা মহামারীতে তারা দুজন অসহায় হয়ে পড়েন।এই শোক কি ভাবে কাটিয়ে উঠবেন।প্রতিবেশী,আত্মীয়দের সাহচর্যে তারা অল্প অল্প করে সংসারে মননিবেশ করেন।ছেলে সুপ্রতীম তার লেখাপড়ায় চালিয়ে যায় সে বর্তমানে ফিজিক্সে এম,এস,সি পড়ছে নাদঘাট মোড়,সমুদ্রগড়, পূর্ববর্ধমানের সুপ্রতীম।
সে তার মনের শান্তির জন্য মার স্মরণে মায়ের প্রথম মুত্যু বার্ষিকীতে একটি সেচ্ছাসেবী সংস্হার সহযোগীতায় নবদ্বীপের শতাধীক পথ শিশু,ভবঘুরে,দুঃস্হ,মানুষদের একবেলা পেট ভরে মাছ ভাত খাওয়ালেন।সুপ্রতীম বলেন মায়ের আত্মার শান্তির জন্য ও আমাদের মনের শান্তির জন্য আমি এই সেবা মূলক কাজটি করলাম।এই কাজে আমার বাবা এবং প্রতিবেশিরা আমাকে উৎসাহিত করেছে।যে মানুষদের এই দিন খাওয়ান হল নবদ্বীপ ষ্টেশন ও তার আশপাশের শতাধীক নারী, পুরুষ, ও শিশু ছিল।