মোল্লা জসিমউদ্দিন,
বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে বন্যা ত্রাণের দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা উঠে।মালদহের বন্যাত্রাণ দুর্নীতি-মামলায় তদন্ত করতে ক্যাগকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, -‘ এই দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সঠিক তদন্ত হয়নি। লক্ষ লক্ষ টাকা তছরুপের অভিযোগ রয়েছে।এরফলে এই ঘটনার তদন্ত ক্যাগ-এর মতো নিরপেক্ষ সংস্থাকে দেওয়া হচ্ছে’। এর পাশাপাশি, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট ।আদালত সুত্রে প্রকাশ, পাঁচ বছর আগে মালদহের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৭০ হাজার টাকা এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৩,৩০০ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরের বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন ৭ হাজার ৩৯৪ জন। অভিযোগ, সেখানে বরাদ্দ ক্ষতিপূরণের অর্থ থেকে প্রায় ৭৬ লক্ষ টাকা আত্মসাত্ করা হয়েছে। এই দাবিতে প্রদেশ কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন এই মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশ, আগামী তিন মাসের মধ্যে ওই ঘটনার তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেবে ক্যাগ কর্তৃপক্ষ ।মামলাকারীর আইনজীবী জানিয়েছেন , ‘ বন্যা ত্রাণের তালিকায় নাম থাকলেও সে টাকা পায়নি বলে ক্ষতিগ্রস্তদের একাংশ ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তদন্তে নেমে প্রশাসন জানতে পারে, তালিকায় দুর্গতদের নামের পাশে অন্য অ্যাকাউন্ট দেখিয়ে দিয়ে ত্রাণের টাকা তোলা হয়েছে।’ আগামী ২০ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে । এই আর্থিক দু্র্নীতিতে মালদার বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সোনামণি সাহার বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিল প্রশাসন। তিনি এখন ফেরার রয়েছেন ।বন্যা ত্রাণে ক্যাগ তদন্ত কে স্বাগত জানিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব।