সেখ সামসুদ্দিন, ২৮ নভেম্বরঃ বর্ধমান ২ নং ব্লকের মানিকহাটী প্রগতি সংঘের নবম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন উপলক্ষে ক্লাব সংলগ্ন ময়দানে কম্বল – শাড়ি বিতরণ, সিভিক ভলেন্টিয়ার – স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনা যোদ্ধা সম্মাননা জ্ঞাপন, মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রী সংবর্ধনা ও বড়শুলের তিনটি পুজো কমিটিকে সম্মাননা জ্ঞাপন সহ সান্ধ্যকালীন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক নিশীথ কুমার মালিক, বর্ধমান মহিলা থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ বনানী রায়, বর্ধমান ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অরুণ গোলদার, বড়শুল ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সুস্মিতা সরেন ও উপ প্রধান রমেশ চন্দ্র সরকার, গ্রাম সদস্যা মেনকা টুডু সহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। এই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই আজ অতিথিদের মাধ্যমে গ্রামের দুঃস্থ ৫০ জন মহিলাকে শাড়ি ও ৫০ জনকে শীতের কম্বল তুলে দেওয়া হয়। এছাড়াও গ্রামের ২১ জন মাধ্যমিক – উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীদের স্মারক দিয়ে উৎসাহিত করা হয়। পাশাপাশি মানিকহাটী গ্রামের একজন স্বাস্থ্যকর্মী ও চারজন সিভিক ভলেন্টিয়ারকে করোনা যোদ্ধা সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয় এবং বড়শুল জাগরণী, বড়শুল ইয়ং মেনস অ্যাসোসিয়েশন ও অন্নদাপল্লী সার্ব্বজনীন দুর্গোৎসব এই তিনটি দুর্গাপুজো কমিটিকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। উপস্থিত সাংবাদিক বন্ধুদেরও সংবর্ধিত করা হয়। বিধায়ক নিশীথ কুমার মালিক বলেন, ‘এই মহতী উদ্যোগে উপস্থিত থাকতে পেরে খুব ভালো লাগছে। এই ক্লাব তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী এর আগেও অসহায় মানুষের পাশে সারাবছর থেকেছে, পাশাপাশি মানবিক – সামাজিক কর্মসূচির মাধ্যমে মানিকহাটী প্রগতি সংঘ আরও এগিয়ে চলুক।’ বর্ধমান মহিলা থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ বনানী রায় বলেন, ‘গ্রামের মধ্যেও শত বাধা উপেক্ষা করে এই ক্লাব আজকে যে ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে তার জন্য ক্লাবের সকল সদস্যকে ধন্যবাদ জানান। আসন্ন শীতের কথা চিন্তা কম্বল বিতরণ একটা মহতী উদ্যোগ।’ পাশাপাশি তার কবিতা পাঠ উপস্থিত দর্শকদের মন ছুঁয়ে যায়। অন্যান্য অতিথিগণ তাদের বক্তব্যে ক্লাবের বিভিন্ন মানবিক ও সামাজিক কর্মসূচির ভূয়সী প্রশংসা করেন। নৃত্যশিল্পী মিলি, শুভেচ্ছা, পাপিয়া, নেহা, দিঠি, সুস্মিতা ও সংগীত শিল্পী শুভজিৎ বাগ (ট্রাকে) এবং হিমাংশু মন্ডলের(মাউতার) সংগীত পরিবেশন দর্শকদের আপ্লুত করে। ক্লাবের সভাপতি জীবন ঘোষ ও সম্পাদক সূর্যদেব ঘোষ বলেন ক্লাবের বিভিন্ন মানবিক ও সামাজিক কর্মসূচির মাধ্যমে এলাকার অসহায় – দুঃস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়ানোই হচ্ছে মানিকহাটী প্রগতি সংঘের মূল লক্ষ্য। এদিন অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন রিম্পা চক্রবর্তী।