মঙ্গলকোটে গাঁজা সহ ধৃত ৩
আমিরুল ইসলাম , মঙ্গলকোট, ৪ সেপ্টেম্বর ;পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটে নাকা চেকিংয়ের সময়, ২বস্তা (২৭কেজি )গাঁজা সহ আটক হলো একটি চারচাকা গাড়ি। গ্রেফতার।৩। আজ তোলা হয়েছিল বর্ধমান আদালতে।একজনের ৩ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের নির্দেশে প্রতিটি থানা এলাকায় মূলত ব্যস্ততম সড়কের ওপর নাকা চেকিং চালাচ্ছেন পুলিশ কর্মীরা ।মঙ্গলকোট থানার পুলিশ প্রতিনিয়ত লোচন দাস সেতুতে নাকা চেকিং চালাচ্ছেন রাত ভোর।গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার গভীর রাত্রে নাকা চেকিং করছিল মঙ্গলকোট থানার এস, আই, প্রণব কুমার নন্দী ও উত্তম মন্ডল সহ দুই কনস্টেবল। গভীর রাত্রে একটি চারচাকা টাটা ইন্ডিকা গাড়ি কে আটকায় মঙ্গলকোট থানার পুলিশ।সেই সময়ে ড্রাইভার সহ আর দুই ব্যক্তি ছিলেন গাড়িতে।তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তারা কোথায় যাবেন। তারা জানায় তারা বীরভূম থেকে আসছে বর্ধমানের দিকে যাবে। এরপর তাদের গাড়ির মধ্যে দুটি বস্তা দেখতে পায় পুলিশ ।জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তারা পালাবার চেষ্টা শুরু করে।পুলিশ তড়িঘড়ি ওই তিন ব্যক্তিকে আটক করে।এরপর বস্তা খুলতেই পুলিশ দেখতে পায় তার মধ্যে গাঁজা রয়েছে।পরে ওই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয় ।ওই ধৃত তিন ব্যক্তিদের নাম আলাউদ্দিন শেখ(বাড়ি কাটোয়ায়), রোহিত গোস্বামী(বাড়ি কাটোয়া পঞ্চাননতলায়) ও রাহুল যাদব(বাড়ি দুর্গাপুরে)। এদের কাছ থেকে ২৭ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ। আজ বর্ধমান আদালতে পেশ করে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ। গাড়ি চালক আলাউদ্দিন শেখ তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের চেয়েছিল আদালতের কাছে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ। আদালত তা মঞ্জুর করে থাকে। তারা কোথা থেকে এই গাজা আনছিল ছিল এবং কতদিন তারাই ব্যবসা চালাচ্ছে সমস্ত তথ্য জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে দরকার । সবমিলিয়ে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ ইতিমধ্যে লোচন দাস সেতুতে একবার সফলতা অর্জন করেছিল। উদ্ধার করেছিল কোডিন সিরাপ। পুলিশের অনুমান এই লোচন দাস সেতুর সঙ্গে যেহেতু বীরভূম ও বর্ধমানের যোগাযোগ রয়েছে। অল্প সময়ে যে কেউ রাজ্যের সীমানা পেরিয়ে যেতে পারে কারণ বর্ধমান এ বীরভূমের খুব কাছে ঝাড়খান্ড সীমানা।মঙ্গলকোট থানার আইসি পিন্টু মুখার্জি বলেন – ” সীমান্তবর্তী সেতুর উপর আমরা বাড়তি নজরদারি চালায়, তাতে সাফল্যও মেলে”।